ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইচ্ছেঘুড়ি

আকাশ কেন নীল? বিড়াল কেন বাঘের মাসী? উত্তর পাবেন কলরবে...

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০২৩
আকাশ কেন নীল? বিড়াল কেন বাঘের মাসী? উত্তর পাবেন কলরবে...

রিফাত এখন ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে। প্রতিদিন স্কুলে যাওয়া আসার সময় নানারকম প্রশ্ন আসে তার মাথায়।

কিন্তু স্যারকে জিজ্ঞাসা করার সাহস পায় না। সেদিন হঠাৎ তার মনে হলো, আকাশটা নীল কেন? সমুদ্রের পানিও তো নীল। তাহলে আকাশের নীল-ই কি সমুদ্রে দেখা যায়? কিন্তু যেখানে সমুদ্র নেই সেখানে আকাশ নীল কেন?

ওপরের অনুচ্ছেদটি একটি দৃশ্যকল্প। এরকম নানা প্রশ্ন ঘুরে বেড়ানোর কথা কিশোর-কিশোরীদের মাথায়। অথচ অনেকক্ষেত্রেই তাদের নিরুৎসাহিত করা হয় প্রশ্ন করার ব্যাপারে।

আবার পরীক্ষার খাতায় নাম্বার তোলার জন্য ছুটতে গিয়ে অনেকের মধ্যে এ কৌতুহলটিই গড়ে ওঠে না। অনন্ত নক্ষত্রবীথির দিকে তাকিয়ে শিশু-কিশোরদের প্রায়ই যে প্রশ্নটি মাথায় আসার কথা, তা হলো- এলিয়েন বলে কি কিছু আছে? কিংবা বাংলাদেশে রাত হলে আমেরিকায় দিন হয় কেন? আবার অনেকেই ভূতের ভয় পায়।

কিন্তু গ্রামে যেরকম ভূত দেখার কথা শোনা যায়, শহরে সাধারণত সেরকম শোনা যায় না। কেন? আসলে ভূত বলে কিছু নেই, কিন্তু ভূতের ভয় রয়ে গেছে আমাদের ভেতরে। বাচ্চারা আরেকটি অতিপরিচিত এবং গুরুত্বপূর্ণ জিজ্ঞাসা করে তাদের বাবা-মাকে, আমি কোত্থেকে এলাম? সেই প্রশ্নের জবাবে তাকে বলা হয়, রাস্তায় কুড়িয়ে পেয়েছিলাম! অথচ এ প্রশ্নটির উত্তর হতে পারত বৈজ্ঞানিক।

বাংলাদেশে শিশু-কিশোররা ৩য় থেকে ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত পাঁচ বছর সাধারণ বিজ্ঞান পড়েও বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহ বোধ করে না। অনেকে মাধ্যমিক বা উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে উঠে এ বিষয়ে পড়াশোনাই ছেড়ে দেয়। অনেকে বিজ্ঞান পড়া চালিয়ে যায় ঠিকই, তবে তাদের মধ্যে বিজ্ঞানমনস্কতা আর গড়ে ওঠে না। অজানা কিছু দেখে তাই প্রশ্ন করতে শেখে না তারা। নতুন কিছু দেখে মুগ্ধ হওয়া, বা সে সম্পর্কে প্রশ্ন করা এবং বিষয়টির আরেকটু গভীরে গিয়ে দেখা ও উত্তর খুঁজে বের করার চেষ্টা করার অভ্যাস তাদের ভেতরে গড়ে ওঠে না। বিজ্ঞানের কিছুই যে পরম স্থির নয়, সবকিছু পরিবর্তনশীল, এ বোধটাও তাদের থাকে না।

শিশু-কিশোরদের নানারকম অদ্ভুত ও বিচিত্র কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের জবাব নিয়ে হাজির হয়েছে কলরব। শুধু প্রশ্নের উত্তরই নয়, তাদের মধ্যে কৌতুহল জাগিয়ে তোলার পাশাপাশি বিজ্ঞানমনস্কতা গড়ে তোলা ও তাদের বৈজ্ঞানিক কার্যকারণে আগ্রহী করে তোলার লক্ষ্য নিয়ে যাত্রা করেছে উদ্যোগটি। আর এ উদ্যোগের মাধ্যম হিসেবে ইউটিউব বেছে নেওয়ার কারণ, বর্তমানে প্রায় সব শিশু-কিশোরই স্মার্টফোন ব্যবহার করে। তাদের হাতের মোবাইলটিকে কাজে লাগিয়ে তাদের বিজ্ঞানমনস্ক করে তোলার লক্ষ্য নিয়েই কাজ শুরু করেছে কলরব।

উদ্যোগটি মূলত ইউটিউবে (youtube.com/@KolorobMinds) মননশীল অ্যানিমেশন ভিডিওর মাধ্যমে শিশু- কিশোরদের প্রশ্ন করতে আগ্রহী করে তুলবে ও জবাব দেবে তাদের বিচিত্র সব প্রশ্নের। পাশাপাশি বই পড়তে উৎসাহ দেওয়া, নানা ধরনের বৈজ্ঞানিক এক্সপেরিমেন্ট হাতে-কলমে করে দেখানোসহ বিভিন্ন ধরনের চিন্তাশীল ভিডিও প্রকাশ করবে।

এছাড়াও ওয়েবসাইট ও ফেসবুকে চিন্তা উদ্রেককারী আর্টিকেল, আকর্ষণীয় গ্রাফিকস ইত্যাদি নিয়ে কাজ করবে উদ্যোগটি।

বাংলাদেশের প্রতিটি শিশু-কিশোরের মধ্যে বৈজ্ঞানিক চিন্তাধারা ও কার্যকারণ গড়ে উঠবে, কলরবের সঙ্গে পথচলায় পরবর্তী প্রজন্মটি হবে বিজ্ঞানমনস্ক- এটাই এ উদ্যোগের লক্ষ্য ও চাওয়া। কলরব প্লেমেকারের (ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সি) একটি শিক্ষামূলক উদ্যোগ। ভবিষ্যতে শিশু-কিশোরদের জন্য বই, এক্সপেরিমেন্ট কিট ইত্যাদি নিয়েও এ উদ্যোগের অধীনে কাজ করবে বলে জানিয়েছেন উদ্যোগটির প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক প্রিয়ম মজুমদার।

কলরবের ভিডিও দেখা যাবে ইউটিউব (youtube.com/@KolorobMinds) ও ফেসবুকে।

বাংলাদেশ সময়: ১২৩৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০২৩
জেডএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।