ঢাকা: দক্ষিণ আমেরিকার ব্রাজিল, ভেনিজুয়েলা, কলম্বিয়া, ইকুয়েডরসহ মোট সাতটি দেশ জুড়ে রয়েছে প্রাকৃতিক সপ্তাচর্য আমাজন বন।
আমাজন বনের আয়তন প্রায় ৫৫ লাখ বর্গকিলোমিটার।
বিশাল আমাজন বন এলাকায় এলাকায় প্রায় ৩০০ উপজাতি গোষ্ঠী বাস করে। এদের মধ্যে প্রায় ৭০টি গোষ্ঠীর বহির্বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ থাকলেও বাকি গোষ্ঠীগুলো বলা যায় সভ্য জগতের সঙ্গে সম্পর্কহীন। এক হিসেবে দেখা গেছে, ২ লাখেরও বেশি মানুষ এই অঞ্চলে বসবাস করেন।
আমাজনবাসীদের মধ্যে বেশিরভাগই ব্রাজিলিয়ান ভাষায় কথা বলেন। এছাড়া অনেকেই স্প্যানিশ ভাষায়ও কথা বলেন। তবে তাদের অনেক গোষ্ঠীর নিজস্ব ভাষাও রয়েছে।
আমাজনে প্রায় ৪৫ লাখ প্রজাতির পোকামাকড় আছে। এখানে হাজার প্রজাতির পাখি আছে। যা বিশ্বের সমগ্র পাখিকুলের প্রায় এক পঞ্চমাংশ। এছাড়া এখানে কমপক্ষে ৪২৮ প্রজাতির উভচর, ৩৭৮ প্রজাতির সরিসৃপ, ৪২৭ প্রজাতির স্তন্যপায়ী রয়েছে।
বিশাল আমাজন বনের ভেতরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা জলাশয়সহ বনের ভেতর দিয়ে যাওয়া বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম নদী আমাজনে কমপক্ষে ৩০০০ প্রজাতির মাছ ও অন্যান্য জলজ প্রাণী বাস করে।
আমাজন বন অজগর জাতীয় বিশাল সাপ অ্যানাকোন্ডাসহ শ্লথ, জাগুয়ার প্রভৃতির জন্য বিখ্যাত। সম্প্রতি বিশ্বের প্রাকৃতিক সপ্তাশ্চর্যে নির্বাচনে প্রথম স্থান পাওয়া আমাজন বন প্রতিদিন বিপুল পরিমাণে কার্বন ডাই অক্সাইডকে অক্সিজেনে রূপান্তর করে বলে এর পরিবেশগত গুরুত্বও কম নয়। অক্সিজেন জীবজগতের টিকে থাকার জন্য অপরিহার্য উপাদান।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০১২
সম্পাদনা: আরিফুল ইসলাম আরমান, বিভাগীয় সম্পাদক, ইচ্ছেঘুড়ি/আহসান কবির, আউটপুট এডিটর