এ আনন্দ টিকলো না বেশি দিন। শরীরে প্রচণ্ড চুলকানি শুরু হয়ে গেলো।
এদিকে শেয়ালেরা রাজা-রানীর এ লক্ষণ দেখে খাবারে ঘি এর পরিমাণ দিলো বাড়িয়ে।
দিনে দিনে অবস্থা এমন হলো যে, রাজা-রানীর গা চুলকানি আর থামে না।
লোম পড়ে যাচ্ছে। নখের আঁচড়ে শরীর থেকে মাংস খুলে পড়ে যায়। পোড়া বেগুনের মতো দেখা যায় রাজা আর রানীকে। তারা রোদে যেতে পারে না। চুলকানি ব্যারামে তারা অস্থির। রাজা-রানী দিনে দিনে নিস্তেজ হয়ে পড়লো। আগের মতো দাপট নেই। ছায়ায় বসে সারাদিন চুলকায় আর হাঁপায়।
পরেরদিন শেয়ালেরা খাবার দিতে এসে দেখে রাজা-রানী চুলকাতে চুলকাতে শরীরের প্রায় সব মাংস তুলে ফেলেছে। মাঝে মধ্যে হাড় দেখা যায়। এদের অবস্থা খুব খারাপ।
পরের দিন গিয়ে দেখে রাজা-রানী আর নেই। গাছের তলে পড়ে আছে কংকাল।
শেয়ালেরা বনের সকল পশু-পাখিকে বললো, দেখো আমাদের রাজা-রানী আর নেই। তাদের কংকাল আছে আমাদের সামনে।
বনের পশু আর পাখিরা আনন্দে নাচতে নাচতে গেয়ে উঠলো-
আহা রাজা এলো বনে...
সুখ শান্তি বিলিয়ে দেবে সুখ পাইনি মনে।
ঘিয়ের সাথে গোবর লেদা খাইলো কুকুর রাজা
খাওয়ার পাগল রাজা-রানীর হলো দারুণ সাজা
আমরা সবাই ব্যস্ত ছিলাম খাওয়ার আয়োজনে
রাজা গেল রানী গেলো সুখ পেয়েছি মনে।
বাংলাদেশ সময়: ০৭১১ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০২৩
এসআই