দাদী আমার সঙ্গী ছিল
করতো কতো আদর
ছায়ার মতো থাকতো পাশে
নিয়ে সুখের চাদর।
বাড়ি জুড়ে সারাবেলা
ছুটতো কাজে কাজে
সঙ্গী হতো পানের বাটা
সকাল দুপুর সাঁঝে।
দাদীর হাতের রান্না ছিল
বড়ই মজাদার
এবাদত আর বন্দেগীতেও
ছিলেন সমঝ্দার।
গর্ব করে বলতো আমায়
এ যে আমার বুড়ো
খেতে বসলে সবার আগে
পেতাম মাছের মুড়ো।
দাদী শুধু বলতো বাবায়
দিস না ওকে বকা
অবিকল তোর বাপের মতো
লক্ষ্মী তোর এ খোকা।
প্রতি রাতে ঝগড়া হতো
বড় বোনের সাথে
কে শোবে যে দাদীর পাশে
জোস্না মাখা রাতে।
হঠাৎ করে আমি একদিন
দিলাম পাড়ি ঢাকা
অভিমানে দাদী আমার
গেলেন চলে একা।
দাদী আমার অচিন দেশে
আছেন অনেক সুখে
স্বপ্নে পেলাম এই সংবাদ
শুকপাখিরই মুখে।