শিশুদের জয় হয়েছে! শিশুদের জয় হয়েছে!! শিশুদের জয় হয়েছে!!! চিৎকার করে বলতে ইচ্ছে করছে কথাগুলো। সত্যি আমার খুব আনন্দ লাগছে।
আমরা জানি জাতীয় সংসদে আইন পাশ করা হয়। আর এই আইন পাশ করেন মাননীয় সংসদ সদস্যবৃন্দ ও স্পিকার। তারা সাধারণ মানুষের ভোটে নির্বাচিত হয়ে সংসদ সদস্য হয়েছেন। সংসদে বসে তারা কীভাবে মিটিং করেন, কীভাবে শৃঙ্খলা রক্ষা করেন, কীভাবে তারা একজন আরেকজনকে সম্বোধন করেন, কীভাবে কথা বলেন এসবই তো দেখার মতো বিষয় আবার শেখারও বিষয়।
এতদিন সংসদ ভবনে শিশুদের যাওয়ার কোনো অনুমতি ছিল না। তাই শিশুরা সেখানে যেতে পারতো না। আমাদের মনে আফসোস ছিল, আমরা যদি সেখানে উপস্থিত হয়ে মাননীয় সংসদ সদস্যদের কথাগুলি সরাসরি শুনতে পারতাম! এখন আমাদের আশা পূর্ণ হয়েছে। সরাসরি দেখতে পারব সংসদের কাজ। কী মজা!
সংসদে একজন আরেকজনকে ‘মাননীয়’ বলে সম্বোধন করেন। মানে খুব সম্মান করে কথা বলেন। তারা কথা বলার আগে মাননীয় স্পিকারের অনুমতি নেন। মাননীয় স্পিকার যাকে অনুমতি দেন তিনি কথা বলতে পারেন। মাননীয় সংসদ সদস্যরা দেশের নানা সমস্যা নিয়ে কথা বলেন। কোন এলাকার কি কি সমস্যা, তা দূরীকরণের কি কি করা লাগবে তার কথাও বলেন। আমরা এসব দেখে অনেক কিছু শিখতে পারব।
মাননীয় স্পিকার একটি সুন্দর কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, “এখানে এখন শিশুরাও বসে সংসদের কাজ দেখছে। সুতরাং সবাই যেন সুন্দর করে কথা বলেন। ”
এখন আমি মনে মনে খুব গর্ববোধ করছি। আমরা থাকলে মাননীয় সংসদ সদস্যগণ ঝগড়া করবেন না, আবার গালাগালিও করবেন না। সুন্দর সুন্দর কথা বলবেন। বিষয়টা কত মজার না!
মাননীয় স্পিকার আপনি আমাদের জন্য এই সুন্দর সুযোগটি করে দিয়েছেন। তাই আমি দেশের সকল শিশুর পক্ষ থেকে আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আর কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১২
সম্পাদনা: আরিফুল ইসলাম আরমান, বিভাগীয় সম্পাদক, ইচ্ছেঘুড়ি; আহ্সান কবীর, আউটপুট এডিটর