আজ ১৭ই মার্চ। জাতীয় শিশু দিবস।
জাতীয় শিশু দিবস প্রতি বছর পালিত হয় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিনে।
শিশু দিবস পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন সময় পালিত হয়। শিশু দিবস পালনকারী প্রথম দেশ তুরস্ক। তুরস্কের অধিবাসীরা শিশু দিবস প্রথম পালন করেন ২৩শে এপ্রিল, ১৯২০ সালে।
সারা বিশ্বে ‘বিশ্ব শিশু দিবস’ পালন করা হয় ২০শে নভেম্বর এবং ‘আন্তর্জাতিক শিশু দিবস’ পালিত হয় ১ জুন। বাংলাদেশে প্রতি বছর ১৭ মার্চ পালিত হয় ‘জাতীয় শিশু দিবস’।
১৯৯৬ সালে প্রথম বাংলাদেশে জাতীয় শিশু দিবস পালন করা হয়।
শিশুদের প্রতি বঙ্গবন্ধুর দরদ ছিল অপরিসীম। তাই তাঁর জন্মদিনকে শিশুদের জন্য উৎসর্গ করে জাতীয় শিশু দিবস ঘোষণা করা হয়। এদিনে আমাদের প্রিয় বাংলাদেশকে শিশুদের জন্য নিরাপদ আবাসভূমিতে পরিণত করার নতুন শপথ নিতে হবে সবার।
শেখ মুজিবুর রহমানের কর্ম ও রাজনৈতিক জীবন অসামান্য গৌরবের। তাঁর এ গৌরবের ইতিহাস থেকে প্রতিটি শিশুর মাঝে চারিত্রিক দৃঢ়তার ভিত্তি গড়ে উঠুক এটাই জাতীয় শিশু দিবসের মূল প্রতিপাদ্য।
বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন এবং জাতীয় শিশু দিবস পালনে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। তাছাড়া দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে বাংলাদেশ টেলিভিশন, বেতারসহ বেসরকারি বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেল প্রচার করে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা।
সংবাপত্রগুলোতে বিশেষ ক্রোড়পত্র ও নিবন্ধ প্রকাশ করে। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আয়োজন করা হয় চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার। পাশাপাশি বিভিন্ন মসজিদে মোনাজাত, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল এবং মন্দির, গির্জা, প্যাগোডাসহ অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনাসভা আয়োজিত হয়।
তাছাড়া প্রতি বছরের মতো এবারও শিশু একাডেমী প্রাঙ্গণে দারুণ সব বই নিয়ে বসছে শিশু বইমেলা। এবারের বইমেলার স্লোগান ‘গড়তে দেশ পড়ব বই, জ্ঞানের আলোয় দীপ্ত হই। ১০ দিনব্যাপী এ শিশু বইমেলা ১৭ই মার্চ থেকে শুরু হয়ে চলবে ২৬শে মার্চ পর্যন্ত।
সর্বোপরি আজকের শিশুরাই আগামীর সক্ষম নাগরিক। তাই শিশু-কিশোরদের চারিত্রিক দৃঢ়তার পাশাপাশি স্বাস্থ্য-পুষ্টির দিকে নজর দিয়ে তাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ নিশ্চিত হোক আমাদের এ বছরের শিশু দিবসের প্রত্যয়।
বাংলাদেশ সময়: ০০০৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০১৩
সম্পাদনা: আসিফ আজিজ, নিউজরুম এডিটর