পার্কের গেটে দাঁড়িয়ে রয়েছে মস্ত বড় এক মিকিমাউস। কাছে যেতেই হ্যান্ডসেক করতে বাড়িয়ে দিল হাত।
এরা মাসকট শিল্পী। বিভিন্ন পার্ক, স্কুল, স্পোর্টস টিমে এরা কাজ করে। এছাড়াও বিজ্ঞাপন ও বিপণন ক্ষেত্রে তারা প্রতিনিধিত্ব করে।
মাসকটের ইতিহাস
উনিশ শতকে ফ্রান্সে ক্রীড়া অনুষ্ঠানে দর্শকদের আনন্দ দেয়ার জন্য মাসকট ব্যবহারের প্রচলন শুরু হয়। প্রথমদিকে তারা জীবন্ত প্রাণীদের উপস্থাপন করতো। তবে তারা অকারণে চিৎকার ও কখনো কখনো আক্রমণ করতো বলে পরিবর্তে ওইসব প্রাণীর আদলে তৈরি মাসকটের ব্যবহার শুরু হয়।
নানারকম মাসকট
মাসকটের চরিত্র সাধারণত কাল্পনিক। এছাড়া বিড়াল, ভাল্লুক, ভেড়া, সিংহ প্রভৃতি মাসকটগুলোও বেশ জনপ্রিয়।
মাসকট আর্টিস্ট ও মাসকট স্কুল
জাপানের টোকিওতে ‘চকো গ্রুপ মাসকট স্কুল’ পেশাদার মাসকট আর্টিস্ট গড়ে তুলতে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে। এটি বিশ্বের একমাত্র মাসকট স্কুল। স্কুলটি স্থাপিত হয় ১৯৮৫ সালে। চকো ওহিরা দক্ষ হাতে প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন এসব মাসকট শিল্পীকে। এখানে ঐতিহ্যবাহী নাচ থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের হাঁটার ভঙ্গিও শেখানো হয়। স্কুলটিতে বর্তমানে ২৫ জন শিক্ষার্থী রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০১৩
সম্পাদনা: আসিফ আজিজ, বিভাগীয় সম্পাদক, ইচ্ছেঘুড়ি-ichchheghuri@banglanews24.com