ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইচ্ছেঘুড়ি

কিশোর গল্প

তিন নম্বর টিচার ও সিম্মি

শেখর দেব | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০১৩
তিন নম্বর টিচার ও সিম্মি

১.
দুর্জয় কিছু জানার আগেই তার তিন নম্বর স্যারটি বাসায় হাজির। বাবাও না পারে!  দু’ দুটো স্যার থাকা সত্ত্বেও কেন যে বাবা তিন নম্বর স্যারটা নিয়োগ দিলেন কিছুই বুঝতে পারছি না।

আজ দুর্জয়ের বাবা নতুন টিউটর নিয়ে এসেছে বাসায়। দুর্জয় দশম শ্রেণির ছাত্র। সায়েন্স নিয়েছে। দুটো টিচার মোটামুটি সব বিষয় পড়ায়। নতুন টিচারটা যে কি পড়াবে সে কিছুই বুঝতে পারছে না। দুর্জয় টিচারের কথা শুনেই মনটা খারাপ হয়ে গেছে। নতুন টিচার বাসায় এলে পা ছুঁয়ে প্রণাম করতে হয় সেটাই ভুলে গেছে। অবশ্য মা মনে করিয়ে দিলেন যা টিচারকে প্রণাম করে আয়। প্রণাম করতে গিয়ে একটু ভুলই করে বসল, পা ছুঁয়ে প্রণাম না করে হাত জোড় করেই প্রণাম জানালো। টিচারের অঙ্গভঙ্গি দেখে মনে হলো আশা করেছিলেন দুর্জয় পা ছুঁয়েই প্রণাম জানাবে। দুর্জয়ের ইচ্ছে করছিল ফিক করে একটা হাসি দেবে। পরিচয়ের শুরুতেই যেন টিচারকে একটা ডস খাইয়ে দিল। মনে মনে ভাবলো টিচারটা তাকে খারাপ ভেবে বসল নাতো? টিচার খারাপ ভাবলো কিনা সেটার চেয়ে বড়ো কথা হলো মা তো আজ ছাড়বে না। হাত জোড় করে প্রণাম করতে দেখে মা কিন্তু অলরেডি চোখ রাঙিয়ে তার দিকে একটি কঠিন দৃষ্টি নিক্ষেপ করে ফেলেছে। মায়ের এ দৃষ্টির পর কি হতে পারে তা খুব ভালো করেই জানা আছে। জ্ঞান দান, তার সাথে চড়-থাপ্পড়।

টিচার আমাকে হাত ধরে বসতে বললেন। টিচারের মুখ দেখে মনে হলো তেমন মাইন্ড করেননি। জিজ্ঞেস করলো তুমি কোন ক্লাসে? দুর্জয় চাপা কণ্ঠে উত্তর দিল –ক্লাস টেনে। দুর্জয় মনে মনে ভাবলো আমি কোন ক্লাসে পড়ি সেটা তো টিচারের জানার কথা, স্যার হয়তো কোনো কথা খুঁজে পাচ্ছিল না তাই এটা দিয়েই শুরু করলো। বাবার সাথে প্রাথমিক আলাপ সেরে সরাসরি পড়ার টেবিলে। তবে স্যার আজ পড়ালো না। নাম আর সিলেবাস সম্পর্কে কথা বলেই উঠে পড়লো। স্যার উঠে পড়লো দেখে দুর্জয় শান্তির নিশ্বাস ফেলে।

পড়া জিনিসটা ইদানীং দুর্জয়ের খুব বিরক্ত লাগছে। তিন তিনটে স্যার। তাছাড়া নতুন স্যারটি কেমন হবে, কি পড়াবে কিছুই জানে না। শুনেছে স্যার নাকি চাকরি করে। কীভাবে ইচ্ছে করে মানুষের চাকরি করে আবার বাসায় এসে মাস্টারি করার। অবশ্য স্যার শুক্র, শনি ও সপ্তাহের অন্য যে কোনো এক দিন পড়াবে বললেন। শুক্রবারটা ছিল ছুটির, কোন স্যার আসত না, এখন একদিনও শান্তি নাই। এসব চিন্তা ঘ‍ুরপাক খাচ্ছে দুর্জয়ের মাথায়। শুধু পড়ো পড়ো আর পড়ো, মা বাবার কাছে এটা ছাড়া কোনো কথা নেই। দুর্জয় বই নিয়ে বসে থাকে। কয়েক লাইন পড়ে সে অন্য চিন্তায় হারিয়ে যায়। খেলাটাও মনে হয় বন্ধ করে দিতে হবে। ইদানীং স্কুলে যতক্ষণ থাকে ততক্ষণ সে ভালো থাকে। সিম্মি নামের এক ক্লাসমেটকে দুর্জয়ের খুব ভালো লাগে। ক্লাসের ফাঁকে আড় চোখে তার দিকে তাকায়।

শুধু তাকিয়ে থাকতে ইচ্ছে করে। সিম্মি আজকাল খুব সুন্দর হয়ে  যাচ্ছে। তার কোঁকড়ানো চুলগুলো দুর্জয়ের খুব পছন্দ। সিম্মির সাথে কথা বলতে ইচ্ছে করে। কিন্তু সাহসে কুলোয় না। অবশ্য দুর্জয় পড়ালেখায় ভালো হওয়ার কারণে সিম্মি মাঝে মাঝে তার কাছে এসে কেমন আছো এ জাতীয় প্রশ্ন করে। দুর্জয় কথা বাড়াতে পারে না। সে চলে যায়। কতো কথা মনে আসে কিন্তু সে কাছে আসলে দুর্জয় সব ভুলে যায়। কিছুই বলা হয় না। সিম্মি তাকে দুজী নামে ডাকে। দুর্জয়ের এ নামটি শুনলে বিরক্ত লাগে। কি সুন্দর তার নাম দুর্জয়, আর সে কিনা ডাকে দুজী।

বিরক্ত লাগলেও কিছু বলতে পারে না বা বলতে ইচ্ছে করে না। মাঝে মাঝে বাট্টু বলেও ডাকে, তখন খুব রাগ হয়। দুর্জয়ের হাইট একটু কম। অবশ্য সিম্মির চেয়ে কম না। বাট্টু নামটা শুনলে তার মাথায় রক্ত উঠে যায়। আজকে সিম্মি তাকে বাট্টু নামে ডাকার কারণে গরম হয়ে বলে দিয়েছে তুমি আর আমার সাথে কথা বলবে না। সে চিন্তা করছে কাল স্কুলে গেলে সিম্মির সাথে একদম কথা বলবে না।

পিঠের উপর একটা থাপ্পড় খেয়ে দুর্জয়ের সম্বিৎ ফিরে আসল। পড়ালেখা না করে মানুষের ছবি আঁকছিস বলতে বলতে মা পিঠের উপর থাপ্পড়টা দিল। তাড়াতাড়ি দুর্জয় গোঁ গোঁ করে পড়া শুরু করলো। মা চলে যাবার পর দেখল সত্যিইতো সে ছবি আঁকছে। সিম্মির কথা ভাবতে ভাবতে কখন যে এই ছবিটা আঁকলো বুঝতেই পারলো না। টানা টানা দুটো চোখ, মাথা থেকে কোঁকড়ানো চুল কানের পেছন হতে মুখে এসে পড়েছে। হায় হায় একি করেছে সে! ভাগ্যিস মা খেয়াল করেনি আমি যে মেয়ের ছবি আঁকছি। তাড়াতাড়ি খাতার পৃষ্ঠাটা ছিঁড়ে জানালা দিয়ে বাইরে ফেলে দিল। নিউটনের গতির সূত্রটি পড়ছিল সে। স্যার বলেছিল বেশ মজার সূত্র। দুর্জয়ের তেমন মজা লাগে না।

তবে একদম মুখস্থ বলতে পারে। গতির তৃতীয় সূত্রটি খুব সহজ। প্রত্যেক ক্রিয়ারই একটি সমান ও বিপরীতমুখী প্রতিক্রিয়া আছে। ক্লাসে স্যার ভালো করে বুঝিয়েছেন। আমরা যদি দেয়ালে একটা ঘুষি মারি আমরা ব্যথা পাবো। কতো উদাহরণ দেওয়া যেতো কিন্তু স্যার ঘুষি মারার উদাহরণ দিল কেন বুঝলো না।

সিম্মিকে আমি বলে দিলাম তুমি আমার সাথে কথা বলবে না। এটাতো একটা উদাহরণ হতে পারে। সে আমাকে বাট্টু ডেকেছে তাই আমি তাকে কথা না বলতে বললাম। এখানে সে যে আমাকে বাট্টু ডেকেছে এটা ক্রিয়া আর আমি তাকে আমার সাথে কথা না বলার জন্য বললাম এটা বিপরীত প্রতিক্রিয়া। অবশ্য নিউটনের সূত্রে সমান ও বিপরীত কথাটা আছে। বাট্টু ডাকা ও কথা না বলতে বলা কি সমান হলো? মোটেই সমান মনে হচ্ছে না দুর্জয়ের কাছে। তাহলে সে কি একটু বেশিই প্রতিক্রিয়া করে ফেললো? দুর্জয় আবার ভাবলো, বেশি হলে বেশিই হয়েছে, সে বাট্টু কেন ডাকবে? আমিতো দুজী ডাকতে নিষেধ করিনি। দুর্জয় বুঝতে পারলো সে পড়ালেখা ছেড়ে সেই আগের চিন্তায় ফিরে গেছে। না, পড়া লেখা করতে হবে নইলে হঠাৎ আবার একটা থাপ্পড় এসে পিঠে পড়বে। রান্নাঘরের দিকে তাকিয়ে মায়ের গতিবিধি খেয়াল করে সে আবার পড়তে শুরু করলো।

২.
তিন নম্বর স্যারটা আজ আসবেন পড়াতে। আসার কথা সাতটায় কিন্তু সাতটা দশ বাজে এখনো আসছে না কেন কে জানে। বই নিয়ে বসে আছে দুর্জয়, পড়তে ইচ্ছে হচ্ছিল না। এখন স্যার এসেতো পড়া শুরু করে দেবে, না আসা পর্যন্ত পড়ব না। তবে মাকে দেখানোর জন্য বই নিয়ে নাড়াচাড়া করছিল সে। স্যার এসেছে সাতটা বিশে। প্রথম দিন লেইট, এ কেমন স্যার। দুর্জয় আবার হাত জোড় করে প্রণাম জানালো। স্যারকে দেখে খুব কম বয়সী মনে হচ্ছিল। অন্য দু’টা স্যারতো এখনো পড়ালেখা করেন, দেখতে এই স্যারের চেয়েও বয়সী মনে হয়। উনি নাকি আবার চাকরিও করে। এত অল্প বয়সে পড়ালেখা শেষ করলো কীভাবে। আজ যদি স্যারকে ভালো না লাগে সরাসরি বাবাকে বলে দিব এ স্যারের কাছে পড়ব না, ভালো করে পড়াতে জানে না। গতদিন তিনি এসে বেশিক্ষণ ছিলো না। শুধু কোন ক্লাসে পড়ি জিজ্ঞেস করেছিল। দুর্জয়ের প্রথমেই স্যারকে ভালো লাগলো না। চেয়ারে বসেই সিলেবাস নিতে বললো, কোথায় নাম-দাম জিজ্ঞেস করবে, নিজের পরিচয় দিবে। অবশ্য কিছুক্ষণ পরেই নাম জিজ্ঞেস করলো। দুর্জয় খুব ট্যালেন্ট স্টুডেন্টের মতো ভাব নিয়ে বললো দুর্জয়। দুর্জয় মোটা ফ্রেমের চশমা পরে, যা তাকে ব্রিলিয়ান্ট ব্রিলিয়ান্ট ভাব এনে দিয়েছে চেহারায়। বন্ধুরাও তাই বলে। স্যার নিজের নাম বললো। অনিক। নাম খারাপ না র্স্মাট আছে দুর্জয় ভাবলো কিন্তু মুখ ফুটে কিছু বললো না। স্যার বললো তোমার নামটা সুন্দর কিন্তু কমন নেইম। দুর্জয় অর্থ কি জানো? দুর্জয়ের সোজা উত্তর যা জয় করা যায় না। তাই নাকি কেউ তাহলে এখনো তোমাকে জয় করতে পারেনি। স্যার এটা কি বললো, আমাকে আবার জয় করবে কে? অবশ্য আপনি এখনো জয় করতে পারেননি, সিম্মি হয়তো জয় করেছে আমাকে। মনে মনে বললো দুর্জয়। স্যার আবার জিজ্ঞেস করলো এক শব্দে বলতো তোমার নামের অর্থ। দুর্জয়ের  ততক্ষণে রাগ উঠছিল খুব। মনে মনে ভাবছে আমার নাম নিয়ে এতো টানাটানি কেন? পড়াতে আসছ পড়াও না ব্যাটা। স্যারকে ব্যাটা বলা ঠিক হলো! অবশ্য মনে মনে বলেছে। তবুও ঠিক হয়নি। সরাসরি উত্তর জানিনা স্যার। অজেয়, অদম্য। মনে রাখবে। ভবিষ্যতে কাজ দিবে। দুর্জয় মনে মনে আবার বললো আপনি কি আমাকে বাংলা পড়াবেন। বাংলার স্যার। মধু স্যারের মতো। মধু স্যার হলো দুর্জয়ের স্কুলের বাংলার স্যার। যেমন নাম মধু তেমন কাজেও। যে সহে সে রহে ভাবসম্প্রসারণ নিয়েই একটি ক্লাস শেষ। অবশ্য ওনার নামতো অনিক। দুর্জয়ের ইচ্ছে হলো স্যারকে জিজ্ঞেস করতে  অনিক অর্থ কি? কিন্তু জিজ্ঞেস করলো না, প্রথম দিন বলে কথা, পাছে বেয়াদবি হয়ে যায়। মানুষ মনে মনে আনেক কিছু চিন্তা করতে পারে, অন্য কেউ কিছু বুঝতে পারে না। এটা খুব মজার, স্যারও বুঝতে পারলো না, আমি কত কিছু ভাবলাম। ভেবে দুর্জয়ের ভালো লাগলো। স্যার সিলেবাস নিয়ে নাড়াচাড়া করতে লাগলো।

তোমার অংক বইটা নাও, অংক দিয়ে শুরু করি। নাইনে অংকে কোনদিন এ প্লাস পেয়েছ? দুর্জয়ের সোজা উত্তর না, স্কুলের টিচাররা নম্বর দেয় না স্যার। ফুল উত্তর করলেও দেয় না। স্যার অবাক হয়ে বললো কেন, নম্বর দেয় না কেন?  আমি স্যার অংক সংক্ষেপে করিতো তাই।

অংক আবার সংক্ষেপে কীভাবে করো? দুর্জয় আবার বললো মাঝখান থেকে কিছু লাইন বাদ চলে যায় আরকি। তার মানে তোমার অংক হয় না, তাই নম্বর পাও না, স্যারের দোষ দিচ্ছ কেন? দেখি বলতো সেট কি? স্যার সেট কি কখনো তো পরিনি, তবে কাপ, কেপ পড়েছি। দুর্জয়ের সোজা উত্তর।

কেন তোমার অন্য দুই টিচারকি কোনোদিন বলেনি সেট কি? না স্যার। আজ স্যার দুই ঘণ্টা পড়ালো কোনো বই খুললো না। অবশ্য দুই ঘণ্টার মধ্যে এক ঘণ্টা ছিল উপদেশ। দুর্জয়ের খারাপ লাগলো না। এটা বুঝতে পারলো অন্য দুই টিচারের চেয়ে ওনি ভালো পড়াতে পারেন। দুই ঘণ্টা চলে গেল দুর্জয় বুঝতেই পারলো না। অন্য টিচারগুলোর এক ঘণ্টাও পার হতে চায় না।

৩.
মায়ের অবিরাম পড় পড় ভালো লাগেনা দুর্জয়ের। সামনের বছর এসএসসি, খেলাও বন্ধ, টিভি দেখাও বন্ধ। অবশ্য ইদানীং খেলা আর টিভির চেয়ে সিম্মির কথা ভাবতেই খুব ভালো লাগে তার। ক্লাসের তারেক ছেলেটা একদমই গুণ্ডা। সিম্মির দিকে নজর দিয়েছে। তারেক ক্লাসের অন্য সহপাঠীদের চেয়ে বয়সে ও সাইজে দুটাতেই বড়ো। তার সাথে তর্কে যাবার প্রশ্নই ওঠে না। তবে দুর্জয়ের খুব খারাপ লাগে। সিম্মিতো ক্লাসে শুধু আমার সাথেই কথা বলে। তারেক একদমই গুণ্ডা, সিম্মির সাথে গায়ে পড়ে কথা বলে। দুর্জয়কে হুমকি দেয় তুই ওর সাথে কথা বলবি না। সিম্মি আমার। দুর্জয়ের খুব রাগ হয়। তুই কি ব্যাটা তাকে কিনে  এনেছিস যে তোর জিনিস। বেয়াদব কোথাকার মেয়েরা কি জিনিস? ওরাতো তোর আমার মতো মানুষ। এসব কথা দুর্জয় মনে মনে বললো। কেন যে দুর্জয় মুখ ফুটে এসব কথা বলতে পারে না। নিজের উপর রাগ হচ্ছিল তার। স্যারের পড়া পড়তে হবে। মায়ের বকুনিতো সবসময় লেগেই আছে। যতো বড়ো হচ্ছি ততো নাকি ডামিশ হয়ে যাচ্ছি।

সিম্মি আর দুর্জয় একসাথে হাটঁছে, তবে কোন জায়গায় হাঁটছে ঠিক বুঝতে পারছে না। জায়গাটা খুব সুন্দর। কেউ নেই আশে-পাশে। এটাতো স্কুলও না। খুব ভালো লাগছে দুর্জয়ের এভাবে সিম্মিকে কোনো দিন একা পায়নি। সিম্মিকে যে তার খুব ভালো লাগে আজই তো বলার সময়। মনে মনে ঠিক করলো একটু পরেই বলে দিবে ভালো লাগার কথা। সিম্মিকে আজ খুব সুন্দর লাগছে। তার কোঁকড়ানো চুলগুলো বাতাসে দুলছে। তার হাসিটি দেখলে মনে হয় শুধু তাকিয়ে থাকি। অদ্ভুত মায়া। সিম্মি তোমাকে একটা কথা বলবো। সিম্মি বললো বলো। উল্টা কোনো প্রশ্ন না করেই সিম্মি বলার অনুমতি দিয়ে দিল। সিম্মিতো কথা বললেই উল্টো আর একটা কথা জুড়ে দেয়। আজ তার মন হয়তো ভালো। সিম্মি তোমাকে আমার...। চুপ হয়ে গেলে কেন? তোমাকে আমার...। যেই দুর্জয় মনের কথাটা বলতে যাবে। পিঠের উপর পড়লো এক থাপ্পড়। হারামজাদা পড়ার টেবিলে বসে না পড়ে ঘুমাস। দুর্জয়ের ঘুম ভেঙে গেল। সিম্মি উধাও। হায় আমি পড়ার টেবিলে ঘুমিয়ে গেছি।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০১৩
সম্পাদনা: আসিফ আজিজ, বিভাগীয় সম্পাদক, ইচ্ছেঘুড়ি-ichchheghuri@banglanews24.com

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।