মগুইশং
মগুইশংয়ের আরেক নাম ইন্ট্রিগুইং। চীনের আলোচিত জায়গাগুলোর তালিকায় এটি অন্যতম।
আবার যখন এখানে ঝড় ওঠে, তখন বিকট অদ্ভুত কিছু আওয়াজ হয়। যেমন, বাঘের গর্জন, আর্তনাদ, শিশুর কান্না প্রভৃতি। এছাড়া এখানকার শিলার গঠনও অনেকটা রহস্যময় আর অদ্ভুত। কিছু দেখতে ভয়ঙ্কর দৈত্যের মতো, যেন তারা বহন করছে কোনো অশুভ ঘটনার বার্তা।
দ্য ইয়োনাগুনি মনুমেন্ট
জাপানের ইয়োনাগুনি উপকূলবর্তী এলাকায় অবস্থিত। এখানকার শিলার গঠনের কারণ বিশেষজ্ঞদের কাছেও অজানা। সাগরতলে শিলার এমন অদ্ভুত গঠন সত্যিই চমকপ্রদ। শিলা খণ্ডের একটি ইংরেজি অক্ষর এল-এর মতো। আবার একটি শিলা দেখতে অনেকটা স্টেজের মতো। সাথে রয়েছে একটি নিচু তারা আকৃতির মঞ্চ ও ত্রিভূজাকৃতির দুটো গভীর গহ্বর।
বর্তমানে এটিকে ট্রায়াঙ্গেল পুল হিসেবে লেবেল করা হয়েছে। তবে কারা, কেন এই মনুমেন্টটি তৈরি করেছিল তার কোনো হদিস পাওয়া যায়নি।
মাউন্ট রোরাইমা
ব্র্রাজিল, গায়ানা ও ভেনেজুয়েলা সীমান্তে মাউন্ট রোরাইমা অবস্থিত। আকৃতির কারণে জায়গাটিকে ভূতুড়ে মনে হয়। এখানে মেঘ সব সময় চূড়ার খুব কাছে অবস্থান করে। একইসঙ্গে বিচিত্র প্রাণীকূলের প্রকোপ থাকায় জায়গাটিকে মনে হয় রহস্যময়।
পর্বতটির চূড়ার গঠন পৃথিবীর প্রাচীনতম ভূতাত্ত্বিক গঠনের অন্তর্গত। বিশ্বাস প্রচলিত রয়েছে, মালভূমিটি বাতাস ও পানির সমন্বয়ে সৃষ্টি হয়েছে। তবে এখানকার প্রাণীগুলো পৃথিবীর অন্য কোথাও দেখা যায় না। এ বিষয়টি বেশ রহস্যজনক।
রিও তিনতো
রিও তিনতো অবস্থিত দক্ষিণ-পশ্চিম স্পেনে। এর উৎপত্তি আন্দালুসিয়ার সিয়েরা মরিনা পর্বত থেকে। নদীটির আশেপাশের খনি সমৃদ্ধ এলাকাটি প্রাচীন যুগেই আবিষ্কৃত।
সুতরাং, নদীর পানিতে নানা প্রকার খনিজ পদার্থ পাওয়া যায়। এগুলোর মধ্যে লোহা উল্লেখযোগ্য। এ কারণেই নদীর পানির রং লাল। বিজ্ঞানীদের মতে, এটি মঙ্গলগ্রহের ভূগর্ভস্থ জলের অংশবিশেষ।
ম্যাক মারডো ড্রাই ভ্যালিস
ম্যাক মারডো ড্রাই ভ্যালিস এন্টার্কটিকায় অবস্থিত। অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি যে জায়গাটি সম্পূর্ণ বরফশূন্য। এটিই পৃথিবীর সবচেয়ে শীতল মরুভূমি। লোহার উচ্চ ঘনত্ব থাকায় জায়গাটি পৃথিবীর অন্যান্য স্থান থেকে ব্যতিক্রম।
সকোট্রা
সকোট্রা আফ্রিকা ও অ্যারাবিক পেনিনসুলার দ্বীপপুঞ্জ। দ্বীপটি যেন পৃথিবীর একটি বিচ্ছিন্ন অংশ। কারণ, এখানকার ছাতা আকৃতির ব্লাড ট্রি, শসা ও সাক্কুলেন্ট গাছ। বিচিত্র রকম পাখি, মাকড়শা, বাদুড় ও বিড়াল এই দ্বীপের একমাত্র বাসিন্দা।
বাংলাদেশ সময়: ১১০০ ঘণ্টা, জুন ০৬, ২০১৩
সম্পাদনা: আসিফ আজিজ, বিভাগীয় সম্পাদক, ইচ্ছেঘুড়ি-ichchheghuri@banglanews24.com