গভীর জলের মাছ বাগধারাটির সঙ্গে আমরা সবাই কম বেশি পরিচিত। সাধারণত চালাক অর্থে এটি ব্যবহার করা হয়।
পৃথিবীর সবচেয়ে গভীর জলের মাছটির নাম ‘স্নেইল ফিস’। ২০০৮ সালে জাপান ট্রিঞ্চ-এর একদল বিজ্ঞানী দূরবর্তী স্থান থেকে পরিচালিত ক্যামেরার মাধ্যমে জলের গভীরে থাকা এ মাছের সন্ধান পান। এর আগে মাছটিকে আর কখনো জীবিত অবস্থায় দেখা যায়নি।
স্লেইল ফিসের বাস সম্পূর্ণ অন্ধকারে। তারা ঠোঁটের সাহায্যে সমুদ্র তলদেশ থেকে আসা তরঙ্গ অনুভব করে এবং খাদ্যের অবস্থান নিশ্চিত করে। তাদের চোখের উপস্থিতি নামমাত্র। এদের চোখ এমনভাবে গঠিত যে, কোনো বস্তু থেকে প্রতিফলিত আলো মস্তিষ্কে পৌঁছুলে তারপর সেটা দৃশ্যগোচর হয়। কিন্তু যেখানে কখনো সূর্যের আলো প্রবেশ করে না, সেখানে চোখের ব্যবহার সামান্যই। তবে এরা কতটা চালাক সেটা এখনো আবিষ্কার করতে পারেননি বিজ্ঞানীরা।
এ প্রকল্পের গবেষকরা আশা করছেন এর চেয়েও গভীর জলে মাছ থাকতে পারে।
বিজ্ঞানীদের কাছে পরীক্ষার জন্য থাকা মাছের নমুনা থেকে তাদের ধারণা হয়েছিল, পানির ২৫ হাজার ২শ’ ৭২ ফুট গভীরে থাকা এ মাছ হয়তো অত্যন্ত কুঁড়ে ও ধীর গতি সম্পন্ন হবে। কিন্তু জাপান ট্রিঞ্চ-এর বিজ্ঞানীদের করা ওই ভিডিও ফুটেজটিতে দেখা যায় তাদের একটি বড় অংশ খাদ্য গ্রহণে বেশ সক্রিয় ছিল।
এবারডিন ওশানল্যাব বিশ্ববিদ্যালয় ও টোকিওর মহাসাগর গবেষণা ইনিস্টিটিউট যৌথভাবে সমুদ্রের গভীরতম জায়গার জীববিজ্ঞানের শাখা সম্পর্কে জানার জন্য ২০০৭ সালে ‘হাডিপ প্রকল্প’ নামে একটি প্রকল্প গঠন করেন।
গবেষকরা সমুদ্রসীমার ২০ হাজার থেকে ৩৬ হাজার ফুট গভীরতা পর্যন্ত খুঁজে দেখার চেষ্টা করছেন নানা বিষয়।
প্রশান্ত মহাসাগরের কাছে খুব সংকীর্ণ স্থানে বেশিরভাগ সময় স্নেইল ফিসের দেখা মেলে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪০ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০১৩
সম্পাদনা: আসিফ আজিজ, বিভাগীয় সম্পাদক, ইচ্ছেঘুড়ি-ichchheghuri@banglanews24.com