পৃথিবীতে নাকি ফুল ফোটাবার হার কমে যাচ্ছে। মানুষ এতো ব্যস্ত, গাছের যত্ন নিয়ে ফুল ফোটাবার সময় নেই কারো! তাই বলে কি ফুল ফুটবে না আর? সেই জটিল সমস্যার সমাধান করেছিলেন চৌকস বিজ্ঞানী, ড. চৌকস! সমুদ্রের নিচে অত্যাধুনিক গবেষণাগারে বসে, অস্ত্র শস্ত্র বা অন্য কোন বিচ্ছিরি যন্ত্র না বানিয়ে, তৈরি করেছিলেন ফুল ফোটাবার রোবট।
কিন্তু এমন চমৎকার বুদ্ধি বিজ্ঞানীদের মাথায় এলো কেমন করে? বড়দের মাথায় কি এরকম অরিজিনাল একটা আইডিয়া খেলতে পারে, না এরকম একটা সমস্যা নিয়ে তারা মাথা ঘামাতে যাবেন? বুদ্ধিটা আসলে এসেছিল বকুলের মাথায়।
মনে কর, একটা আলগা পাতায় তুমি এমনি একটা ছবি এঁকেছ, কিন্তু বাতাস এসে হঠাৎ উড়িয়ে নিয়ে গেল সেটা। শুধু তা-ই না, উড়তে উড়তে সেটা গিয়ে পড়ল গোপন বিজ্ঞান-গবেষণাগারে। সেই ছবি দেখে বিজ্ঞানীদের মাথায় খেলে গেল আইডিয়া! ওমনি ছবিতে যেমন আঁকা আছে তেমন করে রোবট তৈরী করে ফেললেন তারা।
এরকম কিন্তু সত্যি হয়েছিল! বকুলের আঁকা ছবি দেখে বিজ্ঞানী ড. চৌকস আর তার দলবল একশ একটি রোবট ইঁদুর তৈরী করে ফেলেছিলেন। সেই ইঁদুরের কাজ ফুল ফোটানো। কিন্তু তারপর কি হল? এই সমস্ত সংবাদ জানতে হলে পড়তেই হবে বিপ্রদাশ বড়ুয়ার লেখা রোবট ও ফুল ফোটাবার রহস্য।
অগ্রণী শিশু সাহিত্য পুরস্কার পাওয়া কল্পবিজ্ঞান বইটি প্রথম বের করেছিল প্রজ্ঞালোক, ১৯৮৮ তে। ব্র্যাক প্রকাশনা থেকে এখন একটি শোভন সংস্করণ পাওযা যাচ্ছে, পাতায় পাতায় চমৎকার সব ছবিসহ। নতুন বইটার ছাপা এতো ভালো যে হাতে নিলেই পড়তে ইচ্ছা করবে। আর ছবিগুলি এতো দারুণ যে কী আর বলব! তাহলে দেরী কেন, এক্ষুণি বায়না ধরো! পেতে পারো আজিজ সুপার মার্কেটের পাঠশালায়। কিংবা তোমার কাছাকাছি কোন বইয়ের দোকানে।