পিয়াস দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়ে। একটু দুষ্ট, কিন্তু সবার আদরের।
পিয়াস তার মামার সামনে দারিয়ে। মামা কি যেন লিখছে।
মামা কি করছো ?
কিছু না, কি বলবি বল।
আমি গান শিখবো।
শিখবি ভালো কথা।
আমি বড় হয়ে গায়ক হবো।
হলে হবি।
তাহলে একটা গান শোনাই।
আচ্ছা শোনা।
পিয়াস একটু কাশি দিয়ে গান শুরু করলো। মামা লাফ দিয়ে চেয়ার থেকে উঠে পিয়াসের মুখ চেপে ধরলো। কিরে চিৎকার করছিস কেন, আমি গান শোনাতে মানা করছি নাকি।
পিয়াস বললো গানই তো শোনাচ্ছি।
বলিস কি! এটাকে গান বলে নাকি। তুই একটা কাজ কর তোর মাকে গিয়ে গান শোনা। আমাকে মাফ কর।
পিয়াসের মা রান্না ঘরে রান্না করছে। পিয়াস দরজায় দাঁড়িয়ে বললো, মা আমি গান শিখবো, বড় হয়ে গায়ক হবো, মামাকে গান শুনিয়েছি, মামা বলেছে তোমায় শোনাতে।
তাই নাকি আচ্ছা শোনা তো দেখি।
পিয়াস এক লাইন গাইতেই তার মা হাত থেকে ভাতের পাতিল ফেলে দিল।
এটা তুই কি করলি।
কেন, গান গাইলাম।
এই বিকট চিৎকারকে গান বলে নাকি। এই গান আমাকে আর শোনাতে হবে না। তুই তোর বাবাকে গিয়ে শোনা।
পিয়াসের গান শুনে তার বাবা হাত থেকে চশমা ফেলে ভেঙ্গে ফেললো। পিয়াসের বড় বোন শিখা চা খেতে গিয়ে জিহ্বা পুড়ে ফেললো। টানা তিনদিন পিয়াসের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে সবাই জরুরি মিটিং ডাকলো।
পিয়াসের বাবা বললো, কি করা যায় বলতো।
মামা বললো, মুখে ট্যাপ মেরে দেই।
শিখা বললো, কানে তুলা দিয়ে রাখি।
একেক জন একেক মতামত দিতে লাগলে, শেষে সবাই একটা সিদ্ধান্তে আসলো।
পিয়াসকে ডাকা হলো।
পিয়াস তো খুশি মনে হাজির।
বাবা বললো, পিয়াস তুমি বড় হয়ে গায়ক হতে চাও?
-হ্যাঁ বাবা।
তাহলে তোমাকে প্রতি রাতে ছাদে গিয়ে এক ঘন্টা রেওয়াজ করতে হবে। তা না করলে তুমি তো গায়ক হতে পারবে না।
ঠিক আছে আমি রেওয়াজ করবো।
ভালো, তাহলে আজকে থেকে শুরু করো।
পিয়াস ছাদে গিয়ে যেই না হা করেছে অমনি একটা মশা ঢুকে গেল সরাসরি পেটে।
চারদিক থেকে মশার আক্রমন শুরু হলো, পায়ে, ঘাড়ে, পিঠে, গালে হুল বসাতে লাগলো। মশার অত্যাচারে পিয়াসের গায়ক হবার শখ মিটে গেল। আর বাসার সবাই হাফ ছেড়ে বাঁচলো।