আমি হলপ করে বলতে পারি ২০১১ তে নতুন জামা-জুতো তুমি পাচ্ছই । নতুন কোথাও বেড়াতে যাবেই যাবে।
আরে, এতো খুব সহজ হিসেব! তোমার জন্মদিন; মামা, চাচ্চু, ভাইয়া বা আপুর বিয়ে; দু’দুটো ঈদ অথবা পূজো কিংবা বড়দিন- আছে না? নতুন জামা-জুতো তো ধরাবাঁধা। তোমাদের অনেকেই জেলা শহরের স্কুল থেকে এসএসসি পাশ করে ঢাকায় বা বড় কোন শহরে চলে আসবে ভালো কলেজে পড়তে। নতুন জায়গা, সাথে নতুন বন্ধু না জোটার কোনো কারণ আছে!
এই সব নতুনকে একটা ৩৬৫ দিনের ক্যালেন্ডারে মুড়ে হাজির হচ্ছে ২০১১। শুধু তাই না, থাকবে আরো নতুন নতুন সব চমক। আর চমকটাই তো আসল।
হয়তো খাবার খেতে খেতে কারো একটা দাঁত খুলে চলে আসবে একদিন। অবাক হয়ে হাতে দাঁত নিয়ে বসে থাকবে তুমি। তারপর মা যখন বুঝিয়ে দেবে এইতো কেবল শুরু-এরপর চকলেট খেয়ে খেয়ে ভূতের মতো কালো করে ফেলা বাকি দাঁতগুলোও সব পড়ে আবার ঝকঝকে নতুন দাঁত গজাবে; তুমি তখন দাঁত হাতে ইঁদুরের গর্ত খুঁজছো।
কেউ ক্লাসে ফার্স্ট হয়ে বাবার কাছে বাইসাইকেল পাবে। কেউ ততোটা ভালো করতে না পেরে পরের পরীক্ষাটার জন্য কোমর বাঁধছো- ও পারলে তুমি পারবে না, কোনো কথা হ’ল!
এবছরও যে প্যান্টটা ঠিকঠাক মাপমতো ছিল, একদিন হঠাৎ দেখা যাবে তা গোড়ালিতে উঠেছে। দেয়ালে দাগকাটা ছিল না! দাঁড়িয়ে গিয়ে দেখা গেল মাথাটা যে দাগ ছাড়িয়ে ওপরে!
বাবার মাথায় হঠাৎ একদিন রুপোলি একটা কিছু তুমিই প্রথম আবিষ্কার করবে হয়তো। আঁতি পাতি খুঁজে বেরোলো একটা পাকা চুল। এহ্ বাবা! তুমি বুড়ো!
ঠোঁট গোল করে ফুঁ দিতে দিতে দম বেরিয়ে গেলেও এতদিন যেখানে বাতাস ছাড়া কিছু বেরুতো না, হঠাৎ একদিন দেখবে দিব্যি শিষ বেরিয়ে আসছে। একটা দুটো গান ভেঁজে ফেলা কোনো ব্যাপারই না!
আরো কত্ত কি! অ্যাতো কি ছাই আমি জানি! সে তুমিই দেখে নিও! পুরো বছরটা পড়ে আছে না!
তবে এইটুকু জানি, এবছরটাও কিন্তু দারুন যাবে!
ইচ্ছেঘুড়ির পক্ষ থেকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা নাও।