ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইচ্ছেঘুড়ি

ছবি আঁকার যাত্রা

ফাহিমা আক্তার তানিয়া | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৯, ২০১১
ছবি আঁকার যাত্রা

সৃষ্টি সুখের উল্লাসে তুলির আচরে ক্যানভাসে মনের আনন্দে আমরা ছবি আঁকি।   কিন্তু কখনো কি ভেবেছি এই ছবি আঁকার যাত্রা শুরু কিভাবে?

ইতিহাস গণনা শুরু হওয়ার পূর্বে মানুষ যে দিন থেকে পাথর কেটে হাতিয়ার বানাতে শুরু করে সেদিন থেকেই একটি নতুন যুগের যাত্রা শুরু হয়।

এ যুগকে বলা প্রাগৈতিহাসিক যুগ। এই যুগের মানুষরা পশু শিকারের জন্য ছবি আঁকতো। তারা বিশ্বাস করতো শিকারের পশুর তীরবদ্ধ ছবি আঁকলে পশুটি শিকারের সময় মারা যাবে অথবা পশুর প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাবে। এই বিশ্বাস থেকেই তারা শিকারে যাবার আগে যে পশুটি শিকার করতে চায় সেই পশুর বা প্রাণীর তীরবদ্ধ ছবি আঁকতো। যেমন: বল্গা হরিণ, ম্যামথ, ঘোড়া, ষাড়, পাখি, সিংহ, প্যানথার, গন্ডার প্রভৃতি। তাদের এই বিশ্বাস থেকেই ছবি আঁকার যাত্রা শুরু হয়।

ছবি আঁকার জন্য তারা বিভিন্ন পদ্ধতির ব্যবহার আবিস্কার করে। এরা রং তৈরি করেছিল বিভিন্ন ভাবে। লাল ও হলুদ মাটির খন্ড গুড়ো করে পশুর চর্বির সাথে মিশিয়ে লাল ও হলুদ রং তৈরি করতো। এছাড়া পশুর রক্ত, কয়লা, আগুনের শিখা দিয়ে কালি তৈরি করতো। নীল পাথর দিয়ে নীল রং বানাতো। বিভিন্ন রকম নল ও পশুর লোম দিয়ে তুলি বানাতো। রং রাখার পাত্র হিসেবে ব্যবহার করতো পশুর চওড়া হাড় ও পাথর।

পরবর্তিতে মানুষ কৃষি কাজ করতে শেখে এবং গুহা ছেড়ে সমতল নদীর দিকে বসতি গড়তে শুরু করে। এভাবে সভ্যতা বিকাশের সাথে সাথে ছবি আঁকার বিকাশও ঘটতে থাকে। সুতরাং প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকেই শুরু হয় ছবি আঁকার যাত্রা  যা এখনো অবিরাম চলছে এবং চলবে।

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।