অনেকগুলো বিমান আর গাড়ির এক মজার দুনিয়া। সেখানে উড়োজাহাজগুলো নিজেদের মধ্যে ওড়ার প্রতিযোগিতা করে।
বন্ধুদের নিয়ে ভালোই কাটছিল তার দিনগুলো। একদিন হঠাৎ মনে হলো, সে ওড়ার প্রতিযোগিতায় নাম দেবে। কিন্তু তার মেকানিক গাড়ি টডি জানালো এটার জন্য উপযুক্ত নয় ডাস্টি। তার চেয়ে অনেক ভালো মডেলের এবং বেশি ক্ষমতাসম্পন্ন উড়োজাহাজ এ প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে।
তবুও দমে না গিয়ে প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় ডাস্টি। টডি যেমনটা বলেছিল, ডাস্টি বাদ পড়ে। কিছুদিন পর তার ঠিকানায় আসে একটি বার্তা- ডাস্টি প্রতিযোগিতার মূল পর্বে অংশ নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে!
এরপর শুরু হয় ডাস্টির সংগ্রাম। যেভাবেই হোক, পারতে তাকে হবেই। জিততে হবে এই প্রতিযোগিতায়। এরপর ঘটতে শুরু করল নানা ঘটনা। প্রতিদ্বন্দ্বী উড়োজাহাজদের সঙ্গে বন্ধুত্ব, শত্রুতা- এসব দিয়েই এগিয়ে চলে প্রতিযোগিতা। অনেকেই ডাস্টিকে বিদ্রুপ করে বলে, তোমার মতো একটা ক্রপহপার উড়োজাহাজ কীভাবে পারবে প্রতিযোগিতায় জিততে? কিন্তু সে ভেঙে পড়ে না, মনোবল হারায় না। প্রতিযোগিতায় এসে জুটে যায় কিছু নতুন বন্ধুও। তারা সবসময় সমর্থন দিয়ে চলে ডাস্টিকে।
এক দুষ্টু বিমানের শত্রুতায় ডাস্টি বিধ্বস্ত হয়, ভেঙে যায় শরীরের বিভিন্ন অংশ। অসুস্থ ডাস্টি এই শরীরে কোনোভাবেই উড়তে পারবে না। তখনো শেষ হয় নি প্রতিযোগিতা। কী হবে শেষ পর্যন্ত? ডাস্টি কী জিততে পারবে? নাকী হেরেই ফিরতে হবে তাকে?
না। বাকিটুকু আর বলব না। বাকিটা জানতে হলে তোমাকে দেখতে হবে “প্লেনস” নামক অ্যানিমেটেড ছবিটি।
২০১৩ সালের ডিজনির এ ছবিটি তৈরি করেছেন জনপ্রিয় অ্যানিমেটেড ছবি “কারস” এর নির্মাতারা। ছবিটির পরিচালক ক্লে হল, নির্বাহী প্রযোজক জন ল্যাসেটার। মূল কাহিনী লিখেছেন ক্লে হল, জন ল্যাসেটার এবং জেফরি এম হওয়ার্ড। ডাস্টির চরিত্রে কণ্ঠ দিয়েছেন ড্যান কুক। ছবিটির দৈর্ঘ্য ৯২ মিনিট।
গল্পটা শুনে কেমন লাগল? দারুণ নিশ্চয়ই? আর “কারস” ছবিটা তো সবাই দেখেছ। সেই গাড়ির দুনিয়ায় এবার নতুন সংযোজন উড়োজাহাজ। এখন তো স্কুল ছুটি। ঈদের ছুটিতেই দেখে ফেলো “প্লেনস” ছবিটা।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০১৪