জাদুঘরে কী থাকে? প্রাচীন সব নিদর্শন, একটি দেশের শিল্প-সংস্কৃতি, ইতিহাসের সঙ্গে সম্পর্কিত বিভিন্ন জিনিস। আবার অন্যরকম জাদুঘরও হয়।
কিন্তু একটা জাদুঘরে যদি শুধুই পুতুল থাকে? কিংবা যদি বলি পুতুলের যদি একটা জাদুঘর থাকে?
সত্যিই কিন্তু আছে এমন জাদুঘর। দিল্লিতে অবস্থিত এই জাদুঘরের নাম ইন্টারন্যাশনাল ডলস মিউজিয়াম। কে শংকর পিল্লাই নামে একজন কার্টুনিস্ট এই জাদুঘর তৈরি করেছিলেন। চিল্ড্রেন’স বুক ট্রাস্ট ভবনের একটি অংশজুড়ে রয়েছে এ জাদুঘর। জাদুঘরটির আয়তন ৫ হাজার ১শ’ ৮৪.৫ বর্গফুট।
১৯৫৭ সালে কে শংকর পিল্লাই শিশুদের জন্য গড়ে তুলেছিলেন চিল্ড্রেন’স বুক ট্রাস্ট। পরবর্তীতে একজন হাঙ্গেরিয়ান কূটনীতিক তাকে একটি পুতুল উপহার দিলে তিনি বিভিন্ন দেশের পুতুল সংগ্রহ করার ধারণা পান।
শংকর মাঝেমধ্যেই দরিদ্র শিশুদের জন্য তার সংগ্রহের পুতুলগুলোর প্রদর্শনী করতেন। একবার দিল্লিতে এমনই এক প্রদর্শনীতে উপস্থিত হয়েছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু ও তার কন্যা ইন্দিরা গান্ধী। এতে উৎসাহিত হয়ে শংকর গড়ে তোলেন পুতুলের জাদুঘর।
পুতুলের এ জাদুঘরের জন্য পুতুল উপহার দিয়েছেন জওহরলাল নেহরু, রাজিব গান্ধী, ইন্দিরা গান্ধীসহ অনেকে। ভারতে বিভিন্ন দেশের দূতাবাসের পক্ষ থেকেও দেওয়া হয়েছে পুতুল। এছাড়া অনেক দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা এবং ফার্স্ট লেডিরা শুভেচ্ছাস্বরূপ পাঠিয়েছেন নিজেদের সংস্কৃতির প্রতিনিধিত্ব করা পুতুল।
পুতুলের জাদুঘরটি পথচলা শুরু করেছিল প্রায় ৫শ’ পুতুল নিয়ে। ১৯৬৫ থেকে ১৯৮৭ সালের মধ্যে সে সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৫ হাজারে। এগুলোর মধ্যে বেশিরভাগই ছিল উপহার পাওয়া পুতুল। বর্তমানে জাদুঘরটিতে প্রায় ৮৫টি দেশের ৬ হাজার ৫শ’ পুতুল রয়েছে।
ইন্টারন্যাশনাল ডলস মিউজিয়াম সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খোলা থাকে। সোমবার ও অন্যান্য ছুটির দিনে জাদুঘরটি বন্ধ থাকে।
দিল্লি গেলে ঘুরে আসতে পারো ব্যতিক্রমধর্মী এই পুতুলের জাদুঘর থেকে।
বাংলাদেশ সময়: ০৫৩৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৪