ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইচ্ছেঘুড়ি

আকাশের রং নীল কেন?

মীম নোশিন নাওয়াল খান, নিউজরুম এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০১৫
আকাশের রং নীল কেন?

নীল আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকতে সবারই খুব ভালো লাগে। খোলা আকাশটা কেমন করে যেন মন ভালো করে দেয়।

আচ্ছা, এই যে আমরা নীল আকাশ দেখি, নীল আকাশের কথা বলি- কখনো কী ভেবে দেখেছ, আকাশটা কেন নীল রঙের হলো? কেন অন্য কোনো রঙের হলো না?

প্রশ্নটা যেমন মজার, এর উত্তরটাও কিন্তু তেমনই মজার। সেই উত্তরটা জানতে হলে আগে জানতে হবে আকাশ কী।

আকাশ আসলে আমাদের বায়ুমণ্ডল। বিভিন্ন ধরনের গ্যাস ও জলীয় বাষ্প দিয়ে তৈরি এটি। পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তির কারণে এটা চারপাশ থেকে পৃথিবীকে ঘিরে আছে। পৃথিবী ছেড়ে যত উপরে যাবে, বায়ুমণ্ডল ততই হালকা হতে থাকবে এবং আস্তে আস্তে এটা আর থাকবে না। এজন্য মহাশূন্যে কোনো বায়ুমণ্ডল নেই।

এবার জানতে হবে সূর্যের আলোর কথা। আমরা সূর্যের আলোকে সোনালি রঙের দেখি, কিন্তু এটা আসলে রংধনুর সাতটা রঙের মিশ্রণ। সূর্যের আলোয় রংধনুর সাতটা রংই আছে। প্রিজম নামে এক ধরনের বিশেষ আকৃতিতে তৈরি ক্রিস্টাল রয়েছে। সূর্যের আলোয় যদি কখনো প্রিজম ধরো, তাহলে দেখবে আলোটা সাতটা রঙে ভাগ হয়ে যাবে।

আগেই বলেছি সূর্যের আলোতে রংধনুর সবগুলো রং থাকে। রংধনুর রংগুলো কী কী জানো নিশ্চয়ই? বেগুনি, নীল, আকাশি, সবুজ, হলুদ, কমলা ও লাল।

আমরা আকাশের যে নীল রংটা দেখি এটা মূলত সূর্যের আলোর নীল রং। অন্যান্য রঙের তুলনায় নীল রংটা ক্ষুদ্রতর তরঙ্গের মাধ্যমে ছড়াতে পারে, সেজন্য এই রংটা বায়ুমণ্ডলে সবচেয়ে বেশি ছড়িয়ে পড়ে।

যেহেতু বায়ুমণ্ডলটাই আকাশ, তাই সেখানে যেই রং ছড়াবে, আকাশের রং সেটাই হবে। তাই সূর্যের নীল রংটা বায়ুমণ্ডলে পড়ার কারণে বায়ুমণ্ডলটা নীল হয়, এবং আকাশটাও নীল হয়।

এজন্যই আকাশের রং নীল হয়, লাল, হলুদ বা অন্য কোনো রং হয় না।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০১৫
এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।