‘বিশ্বকবি’ শব্দটা শুনলেই যে লম্বা চুল-দাড়ির জ্ঞানী-গুণী চেহারার ব্যক্তিটির ছবি চোখের সামনে ভেসে ওঠে, তিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। ছোট-বড় সবার প্রিয় কবি, প্রিয় লেখক তিনি।
১২৬৮ বঙ্গাব্দের ২৫ বৈশাখ জোড়াসাঁকোর অভিজাত ঠাকুর বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তার বাবার নাম মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ও মা সারদাসুন্দরী দেবী।
কলকাতার ওরিয়েন্টাল সেমিনারি, নর্মাল স্কুল, বেঙ্গল একাডেমি ও সেন্ট জেভিয়ার্স স্কুলে কিছুদিন করে পড়াশোনা করলেও রবীন্দ্রনাথ ছিলেন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার ব্যাপারে অনাগ্রহী। তাই তার জন্য গৃহশিক্ষকের বন্দোবস্ত করা হয়েছিলো। ১৭ বছর বয়সে লেখাপড়া করতে দেশের বাইরে গিয়েছিলেন তিনি, কিন্তু পরে পড়াশোনা শেষ না করেই ফিরে আসেন।
রবীন্দ্রনাথের বয়স যখন মাত্র ১৫ বছর, তখন তার প্রথম কাব্য প্রকাশিত হয়। সাহিত্যের সব শাখায়ই ছিলো তার স্বাচ্ছন্দ্য বিচরণ। লিখেছেন ছোটগল্প, গান, নাটক, প্রবন্ধ, কাব্য, উপন্যাস- সব। তিনি ছিলেন একাধারে সাহিত্যিক, সুরকার, গীতিকার, চিত্রশিল্পী, নাট্যকার, নাট্যপ্রযোজক, অভিনেতা ও শিক্ষাবিদ।
১৯১৩ সালে প্রথম বাঙালি হিসেবে সাহিত্যে নোবেল পান রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। এছাড়াও তিনি অর্জন করেন অসংখ্য সম্মাননা ও পুরস্কার।
বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীতের রচয়িতা কিন্তু আমাদের বিশ্বকবিই।
প্রথাগত শিক্ষার বিরোধী ছিলেন রবীন্দ্রনাথ। তাই তিনি প্রতিষ্ঠা করেন ‘বিশ্বভারতী’ যেখানে প্রকৃতির সঙ্গে মিশে শিক্ষাগ্রহণের সুযোগ পায় শিক্ষার্থীরা।
রবিঠাকুর তার জীবনের শেষ প্রান্তে এসে চিত্রকর হিসেবেও খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। তার আঁকা স্কেচ ও ছবির সংখ্যা আড়াই হাজারেরও বেশি। এসব ছবির একাধিক প্রদর্শনীও হয়েছে সমগ্র ইউরোপে।
১৩৪৮ বঙ্গাব্দের ২২ শ্রাবণ মৃত্যুবরণ করেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাঙালির গর্ব। তিনি চিরদিন বেঁচে থাকবেন বিশ্ববাসীর শ্রদ্ধায়, ভালোবাসায়।
আজ বিশ্বকবির ১৫৪তম জন্মবার্ষিকী। তার প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৪ ঘণ্টা, মে ০৮, ২০১৫
এএ