একটা সময় ছিলো যখন ডাকপিয়নের সাইকেলের টুংটাং বেল শোনার জন্য মানুষ অধীর হয়ে থাকত। ওই ঘণ্টা মানেই ডাকপিয়ন আসা, আর ডাকপিয়ন আসা মানেই হয়তো দূরে থাকা পরিবারের কোনো সদস্য বা বন্ধুর কাছ থেকে আসা কোনো চিঠি।
যখন মোবাইল ফোন, ইন্টারনেট ছিলো না, তখন অনুভূতিগুলো এমনই ছিলো। চিঠিতেই মানুষ লিখে পাঠাতো রাজ্যের কথা। হাসি-আনন্দের পাশাপাশি দুঃখের কথা, অভিমানের কথায় ভরে যেত পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা।
তাই বলে ভেবো না যেন সব চিঠিই খুব লম্বা হতো। কেউ কেউ ছোট্ট করেও চিঠি লিখতো। হয়তো একটা চিঠিতে শুধুই লেখা হলো, ‘কেমন আছ?’
একটা বাক্যেই চিঠিটা শেষ। এই চিঠিটা অনেক ছোট। কিন্তু বিশ্বের সবচেয়ে ছোট চিঠিটা এটার চেয়েও ছোট। এবার নিশ্চয়ই জানতে ইচ্ছে হচ্ছে, কী ছিলো ওই চিঠিতে?
ওই চিঠিতে শুধু একটা প্রশ্নবোধক চিহ্ন ছিলো। ১৮৬২ সালে ফরাসি ঔপন্যাসিক ভিক্টর হুগো এই চিঠিটা পাঠিয়েছিলেন তার প্রকাশককে। চিঠিতে তিনি জানতে চেয়েছিলেন তার বই ‘লা মিজারেবলস’ কেমন বিক্রি হচ্ছে। সেটা জানার জন্য তিনি চিঠিতে শুধু লিখেছিলেন, ‘?’
তার প্রকাশকও কম যান না। তিনি উত্তর পাঠিয়েছিলেন শুধু ‘!’। এর অর্থ ছিলো বইটা অনেক বিক্রি হচ্ছে। চমৎকার।
সবচেয়ে মজার কথা হলো, যে বইয়ের ব্যাপারে জানতে ভিক্টর হুগো পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট চিঠিটি লিখেছিলেন, সেই বইটা কিন্তু মোটেই ছোট ছিলো না। সেটা ছিলো ১২০০-এরও বেশি পৃষ্ঠার দীর্ঘ একটা বই।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫১ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০১৫
এএ