পাথর একটা জড় বস্তু- সেকথা আমাদের সবার জানা। কিন্তু পাথর যদি হাঁটতে শুরু করে, তাহলে কেমন হবে?
সত্যিই কিন্তু এমনটা হয়! পাথর হেঁটে হেঁটে অনেক দূরে চলে যায়।
রেসট্র্যাক প্লায়া ডেথ ভ্যালি একটি শুকনো হ্রদ। চলমান পাথরই এ জায়গাটিকে আকর্ষণীয় করে তুলেছে। এখানকার পাথরগুলোকে কিন্তু কেউ কখনো হাঁটতে-চলতে দেখেনি। কিন্তু ভূমির উপরে পাথরের দাগ দেখে নিশ্চিত হওয়া যায় এগুলো সত্যিই একা একা নিজেদের স্থান থেকে সরে আসে। কেননা কোনো মানুষ বা প্রাণীর পায়ের ছাপ এর আশেপাশে পাওয়া যায় না।
সুতরাং, মানুষ বা প্রাণী দ্বারা পাথরগুলো স্থানচ্যুত হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। তাছাড়া ওগুলো এত ভারী যে কোনো পশুর পক্ষে তা সরানো সম্ভব না। মানুষের পক্ষেও যন্ত্রপাতি ছাড়া খালি হাতে এসব পাথর সরানো অনেকটা অসম্ভব।
পাথরগুলো শুধু সরল পথে যায় না, কখনো কখনো তারা গতি পরিবর্তনও করে। এমনকী চলতে চলতে কখনো একদম উল্টোদিকেও ফিরে যায়। এ ঘটনাগুলো ঠিক কীভাবে ঘটে তা এখনো অজানা।
এতো ভারী ভারী পাথর কীভাবে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় নিজে নিজে সরে যায়, সে রহস্য আজও বিজ্ঞানীরা ভেদ করতে পারেনি। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ভূমির উপরে যখন কাদামাটির পাতলা আস্তরণ পড়ে, তখন পাথরগুলো সরতে শুরু করে।
একেকটা পাথর কয়েক বছর পর্যন্ত চলে। কোনো কোনো বিজ্ঞানী ধারণা করেন, তীব্র বাতাস, কাদামাটি, বরফ, তাপমাত্রা পরিবর্তন ইত্যাদি কারণে এমনটি হয়ে থাকে। তবে এ ধারণার পক্ষে কোনো প্রমাণ এখনো পাওয়া যায়নি। আর পাথরের চলার পথের ভিন্নতার কারণে এই ধারণাগুলোও গ্রহণযোগ্যতা পায়নি।
বিজ্ঞানের উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে কোনো একদিন হয়তো চলন্ত পাথরের রহস্য উন্মোচিত হবে। কিন্তু তার আগ পর্যন্ত পৃথিবীর মানুষের কাছে প্রকৃতির অমীমাংসিত রহস্যগুলোর একটি হয়েই রয়ে যাবে রেসট্র্যাক প্লায়ার চলন্ত পাথর।
বাংলাদেশ সময়: ০৬১০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৫
এএ