ঢাকা: বিকেলের নীল আকাশে রঙিন ঘুড়ি ওড়া দেখতে দারুণ লাগে। তোমাদের ঘুড়ি ওড়ানো যাদের শখ, তারা নিশ্চয়ই ঘুড়ি সম্পর্কে অনেককিছু জানো।
কিন্তু যে ঘুড়ি তুমি এতো আনন্দ করে ওড়াচ্ছো, সেই ঘুড়ি কীভাবে আবিষ্কৃত হয়েছিল তা কি জানো?
ঘুড়ির ইতিহাস বেশিরভাগ মানুষেরই অজানা। আসলে ঘুড়ির সঠিক ইতিহাস স্বয়ং বিশেষজ্ঞরাও বের করতে পারেননি। প্রথম কোথায় ঘুড়ি তৈরি হয়েছিল, সে বিষয়ে নানা বিতর্ক রয়েছে। তবে বেশিরভাগ মানুষের ধারণা, চীনারাই প্রথম ঘুড়ি তৈরি করে।
বিভিন্ন সূত্রের তথ্য-উপাত্ত থেকে জানা যায়, খ্রিষ্টপূর্ব ৫ম শতাব্দীতে চীনে ঘুড়ি আবিষ্কৃত হয়। চীনা দার্শনিক মোজি ও লু বান ছিলেন ঘুড়ির আবিষ্কারক।
তবে ঘুড়ি তৈরি নিয়ে আরেকটি গল্প প্রচলিত রয়েছে। অনেকে বলে থাকেন, এক চীনা ব্যক্তি তার মাথার টুপির সঙ্গে সুতো বেঁধে নিয়েছিলেন যেন সেটি উড়ে না যায়। এখান থেকেই ঘুড়ি তৈরির ধারণা আসে।
আবিষ্কার যেই করে থাকুক না কেন, চীনেই সম্ভবত প্রথম ঘুড়ি তৈরি করা হয়। সেই ঘুড়িগুলো কিন্তু এখনকার ঘুড়ির মতো ছিল না। এগুলো তৈরি করা হতো সিল্ক কাপড় আর বাঁশ দিয়ে। কিছু কিছু ঘুড়ি তৈরিতে পাতলা কাঠও ব্যবহার করা হতো।
চীনারা কিন্তু আমাদের মতো খেলা হিসেবে ঘুড়ি ওড়াতো না। দূরত্ব মাপা, বাতাসের গতি নির্ণয়, সংকেত আদান-প্রদান ও সেনাবাহিনীর যোগাযোগের কাজে ব্যবহৃত হতো ঘুড়ি।
পরবর্তীতে পলিনেশিয়া, নিউজিল্যান্ড, ভারতবর্ষসহ বিভিন্ন স্থানে ঘুড়ির প্রচলন হয়। তবে ইউরোপে ঘুড়ির প্রচলন ঘটে অনেক দেরিতে। বিশ্বের নানা প্রান্তে ঘুড়ির ব্যবহার নানারকম হয়ে ওঠে। ধর্মীয় উৎসব থেকে শুরু করে দৈনন্দিন প্রয়োজনসহ নানা কাজে ব্যবহৃত হতে শুরু করে ঘুড়ি। তার আকার-আকৃতিও পাল্টাতে থাকে। প্রথমে চৌকো থাকলেও পরবর্তীতে নানা আকৃতির ঘুড়ি তৈরি করা হয়। সেসব ঘুড়িতে নানা রকম নকশাও ব্যবহৃত হয়।
এভাবেই নানা পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে ঘুড়ি তার আজকের জায়গায় এসে পৌঁছেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০১৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৫
এসএস