ঢাকা: হঠাৎ চোখে পড়লো গাছের ডালে একটি পাখি বসে রয়েছে। প্রথমে দেখে ভাবলেন, টিয়ে।
এই পাখিটির নাম ফুলটুসি। ইংরেজি নাম Plum-headed Parakeet। বৈজ্ঞানিক নাম Psittacula Cyanocephala।
ফুলটুসি মূলত এক ধরনের সবুজ টিয়ে। এরা ৩৩ থেকে ৩৬ সেন্টিমিটার হয়, যার মধ্যে লেজের দৈর্ঘ্য ২২ সেন্টিমিটার।
পুরুষ পাখির মাথাটি লাল হয়। সঙ্গে থাকে কালচে বেগুনি বা কালচে নীল। সবুজ শরীর ও লাল মাথার মাঝখানে রয়েছে কালো কলার। মেয়ে ফুলটুসির মাথা নীলাভ ধূসর রঙের। গলার কলার হলুদ।
হিমালয়ের পাদদেশ থেকে এশিয়ার কিছু দেশে ফুলটুসি পাখির বসবাস। ভারত, বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কাসহ বিভিন্ন দেশে দেখা মেলে এ পাখির। তবে খুব শুকনো এলাকায় থাকে না এরা। মূলত বুনো পাখি ফুলটুসি। বনে-বাদাড়ে ছাড়াও কোনো কোনো দেশে শহরের পার্কেও এদের দেখা যায়। বুনো পাখি হলেও কেউ কেউ শখ করে ফুলটুসি পাখি পোষেন।
বেশ তীক্ষ্ণ কণ্ঠে ‘টুঁই টুঁই’ শব্দ করে ডাকে ফুলটুসি। এদের খাদ্যাভ্যাস সহজ-সরল। ফলমূল, শস্য ও কিছু কিছু ফুলের পাপড়ি খেতে পছন্দ করে এরা।
ফুলটুসি পাখি গাছের কাণ্ডের গর্তে বাসা করে। ৪-৬টি ডিম পাড়ে। ডিমের রঙ সাদা। মেয়ে পাখি ডিমে তা দেয়।
পোষা পাখি হিসেবে অনেকের পছন্দের তালিকায় প্রথমদিকে থাকে ফুলটুসির নাম। ইউরোপ-আমেরিকায়ও পোষা হয় এই পাখি। তবে দুঃখের ব্যাপার হলো, টিয়ের মতো হলেও টিয়ের মতো কথা বলতে পারে না ফুলটুসি। মন ভালো থাকলে শিস বাজিয়ে শোনাতে পারে।
তা না হলে এর তীক্ষ্ণ কণ্ঠের ডাকটাই শুনতে হবে, ‘টুঁই টুঁই...’।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ৪, ২০১৫
এসএস