ঢাকা: চলছে বিজয়ের মাস ডিসেম্বর। দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধ করে এ মাসেই বাঙালি অর্জন করে কাঙ্ক্ষিত বিজয়, লাল-সবুজ পতাকা।
রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অনেকেই দেখে থাকবে এসব ভাস্কর্য। অনেক ভাস্কর্য নির্মাণের পেছনে রয়েছে স্বাধীনতা সংগ্রামের একেকটি বাস্তব প্রেক্ষাপট।
এমনই একটি ভাস্কর্য জাগ্রত চৌরঙ্গী।
জাগ্রত চৌরঙ্গী
মুক্তিযুদ্ধের প্রেরণায় নির্মিত প্রথম ভাস্কর্য জাগ্রত চৌরঙ্গী। ১৯৭৩ সালে স্থাপিত ভাস্কর্যটি নির্মাণ করেন আবদুর রাজ্জাক।
ভিত্তিসহ ৪২ ফুট ২ ইঞ্চি দৈর্ঘ্যের স্মৃতিসৌধটি গাজীপুর জেলার জয়দেবপুর চৌরাস্তার মাঝখানে সড়কদ্বীপে অবস্থিত।
জাগ্রত চৌরঙ্গীর উপকরণ কংক্রিট, গ্রে সিমেন্ট, হোয়াইট সিমেন্ট ইত্যাদি। ভাস্কর্যে ১৬ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের ৩ নম্বর সেক্টরের ১০০ জন ও ১১ নম্বর সেক্টরের ১০৭ জন শহীদ সৈনিক ও মুক্তিযোদ্ধাদের নাম খোদাই করা রয়েছে।
প্রেক্ষাপট
১৯৭১ সালের ১৯ মার্চ। এদিনের ছিলো মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ যুদ্ধ। এই প্রতিরোধ যুদ্ধে মাত্র তিনটি বন্দুক নিয়ে জয়দেবপুরবাসী সশস্ত্র পাকিস্তানিদের সঙ্গে যুদ্ধে নামে। পাকিস্তানিদের প্রবল গুলিবর্ষণে সেদিন হুরমত উল্লাহসহ ২০ জন শহীদ হন। আহত হন আরও ১৬ জন।
তাদের অবদান ও আত্মত্যাগের চেতনায় জাতিকে অনুপ্রাণিত করতে জয়দেবপুর চৌরাস্তার সড়কদ্বীপে স্থাপিত হয় ডান হাতে গ্রেনেড ও বাম হাতে রাইফেলসহ পেশিবহুল নর ভাস্কর্যটি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০১৫
এসএমএন/এএ