ক্রিসমাস ডে-র সব আনন্দ যে কয়েকটা জিনিস ঘিরে, তার একটা ক্রিসমাস ট্রি। ক্রিসমাস ট্রি বড়দিনের আয়োজনের অপরিহার্য অংশ।
ক্রিসমাস ট্রি হিসেবে ব্যবহৃত হয় চিরসবুজ কোনো গাছ। ফার বা পাইনের মতো গাছগুলো এক্ষেত্রে বেশ জনপ্রিয়। এছাড়া কৃত্রিম ক্রিসমাস ট্রি-ও পাওয়া যায় এখন।
যে ক্রিসমাস ট্রি ছাড়া বড়দিন চিন্তাই করা যায় না, সেই ক্রিসমাস ট্রি-র প্রচলন প্রথম কোথায় হয় জানো? জার্মানিতে। জার্মানরা প্রথম বড়দিন উদযাপনে গাছ সাজানো শুরু করে। সেই সাজানো গাছই আজকের ক্রিসমাস ট্রি।
ক্রিসমাস ট্রি নানারকম রঙিন বাতি, বল, রঙিন কাগজ ইত্যাদি দিয়ে সুসজ্জিত থাকে। তবে শুরুতে ক্রিসমাস ট্রি কিন্তু এতকিছু দিয়ে সাজানো হতো না। তখন ক্রিসমাস ট্রি সাজাতে ব্যবহার করা হতো বাদাম, আপেলসহ নানারকম ফল ও খাবার।
একসময় মোমবাতি দিয়ে ক্রিসমাস ট্রি সাজানো শুরু হয়। পরবর্তীতে মোমবাতির স্থান দখল করে নানারকম রঙিন বৈদ্যুতিক বাতি। তার সঙ্গে থাকে রঙিন বল, কাগজ ইত্যাদি।
গাছের চূড়ায় থাকে একটা সোনালি তার বা ছোট্ট দেবদূতের মূর্তি। তবে ক্রিসমাস ট্রি-র চূড়ায় সোনালি তারাই সাধারণত লাগানো হয়। এই তারাটা লাগানো নিয়ে আবার একটা মজার বিশ্বাস আছে। বিশ্বাসটা হলো, তারাটা লাগানোর সময় কোনো ইচ্ছে করলে সেই ইচ্ছে পূরণ হয়।
ক্রিসমাস ট্রি আরেকটা কারণে আকর্ষণীয়। বড়দিনের সুন্দর সুন্দর উপহারগুলো কিন্তু ক্রিসমাস ট্রি-র নিচেই রাখা হয়। তাই ছোটদের কাছে বড়দিন মানেই ক্রিসমাস ট্রি।
বড়দিন প্রায় চলেই এসেছে। চার্চ, হোটেল, রেস্টুরেন্টসহ বিভিন্ন জায়গায় সাজানো হয়েছে ক্রিসমাস ট্রি। আর এই রঙিন সুসজ্জিত গাছ চারপাশে ছড়িয়ে দিচ্ছে বড়দিনের আমেজ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০১৫
এএ