বর্ষা মানে নতুন পানি, বর্ষা মানে হলুদাভ কদম ফুল, বর্ষা মানে নতুন জীবন। গাছে গাছে পাতায় পাতায় খেলে আলোর নাচন।
কখনো বা ইলশে গুড়ি বৃষ্টি, কখনোবা এক পশলা বৃষ্টি আবার কখনো বা মুষলধারে বৃষ্টি। একেক বর্ষায় একেক রূপ ধরে চিরনবীন প্রকৃতি। প্রকৃতি আর বর্ষার নাচনে হৃদয় তন্ত্রীতে আপন আনন্দে বেজে ওঠে ‘বৃষ্টি পরে টাপুর টুপুর নদে এলো বান...। ’
শ্যামল মেঘের চঞ্চলতায় প্রকৃতির পালাবদলে এলো বর্ষা। গ্রীষ্মের তপ্ত দাহে যখন জনজীবন অস্থির তখন বর্ষার আগমন যেন প্রকৃতির সেই অবস্থাকে দূর করার জন্য। চোখের পলকে বিজলীর ঝলকানিতে মেঘমেদুর বর্ষা রিমঝিম বৃষ্টি ঝরিয়ে প্রকৃতিকে করে তোলে সজীব।
বর্ষা, বাংলাদেশ আর প্রকৃতি যেনো মিলেমিশে একাকার হয়ে যায় পুরো অস্তিত্ব জুড়ে। কবিতার ছন্দে ছন্দেই প্রায়ই বৃষ্টির তুমুল দাপটে চলে আসে বান। তবু শত দুর্ভোগের পরেও বাঙ্গালির প্রাণের ঋতু বর্ষা। মনের অজান্তেই সেই কোন সুদূরে নিয়ে যায় বর্ষা আমাদের।
দুরন্ত শৈশবের আমুদে দাপটে দীঘল মাঠের সীমানায় ভেজা সারাটা দিন। বৃষ্টি থামা না পর্যন্ত বৃষ্টিতে ভেজারও নেই কোনো থামা। তাইতো বর্ষা এলেই গায়ের মাঝি মাথাল মাথায় বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে গান ধরে ভাটিয়ালি গান। যতদুর চোখ যায় শুধুই বর্ষা গীতি।
বর্ষার বৃষ্টিতে ভেজার মজাটা লুফে নিতে ভুলো না যেনো।