ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইচ্ছেঘুড়ি

মুক্তিযুদ্ধের সেক্টরগুলো

মীম নোশিন নাওয়াল খান, নিউজরুম এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ৫, ২০১৬
মুক্তিযুদ্ধের সেক্টরগুলো

বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে গৌরবময় অধ্যায় আমাদের মুক্তিযুদ্ধ। দীর্ঘ নয় মাসের এ যুদ্ধের মধ্য দিয়েই আমরা পেয়েছি এক টুকরো স্বাধীন দেশ- বাংলাদেশ।



মুক্তিযুদ্ধের কথা আমাদের সবার জানা থাকলেও যুদ্ধ সংক্রান্ত অনেক তথ্যই অজানা। এই যেমন আমরা সবাই জানি যুদ্ধের সময় পুরো বাংলাদেশকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছিল। যুদ্ধের সুবিধার জন্যই এটি করা হয়েছিল।

মুক্তিযুদ্ধের ১১টি সেক্টরের কোনটি কোন কোন অঞ্চল নিয়ে গঠিত, কারা ছিলেন সেক্টর কমান্ডার- এই তথ্যগুলো অনেকেরই অজানা। সেই তথ্যগুলো নিয়েই এই আয়োজন।

সেক্টর ১
ফেনী নদী থেকে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, রাঙামাটি ও ফেনী পর্যন্ত অঞ্চলগুলো নিয়ে গঠিত হয়েছিল এই সেক্টর। এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত মেজর জিয়াউর রহমান এবং জুন থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত মেজর রফিকুল ইসলাম ছিলেন সেক্টর ১-এর সেক্টর কমান্ডার।

সেক্টর ২
ঢাকা, নোয়াখালী, কুমিল্লা ও ফরিদপুরের কিছু অংশ ছিল সেক্টর ২ এর অধীনে। এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই সেক্টরের কমান্ডার ছিলেন মেজর খালেদ মোশাররফ ও সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ছিলেন মেজর হায়দার।
 
সেক্টর ৩
ঢাকার খানিকটা অংশ, হবিগঞ্জ, কুমিল্লা ও কিশোরগঞ্জ নিয়ে গঠিত হয় সেক্টর ৩। এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এ সেক্টরের কমান্ডার ছিলেন মেজর শফিউল্লাহ। সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সেক্টর কমান্ডার ছিলেন মেজর নুরুল্লাহ।

সেক্টর ৪
সেক্টর ৪-এর কমান্ডার ছিলেন মেজর সি আর দত্ত। সিলেটের অংশবিশেষ নিয়ে এই সেক্টর গঠিত হয়েছিল।

সেক্টর ৫
সেক্টর ৫-এর আওতায় ছিল সিলেট জেলার অংশ বিশেষ এবং বৃহত্তর ময়মনসিংহের সীমান্তবর্তী অঞ্চল। সেক্টর কমান্ডার ছিলেন মেজর মীর শওকত আলী।

সেক্টর ৬
এই সেক্টরের অধীনে ছিল রংপুর ও দিনাজপুরের ঠাকুরগাঁও মহাকুমা। সেক্টর কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেছিলেন উইং কমান্ডার বাশার।

সেক্টর ৭
দিনাজপুরের দক্ষিণ অঞ্চল, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া ও রংপুরের কিছু অংশ ছিল এই সেক্টরের অন্তর্ভুক্ত।   মেজর কাজী নুরুজ্জামান ছিলেন সেক্টর কমান্ডার।

সেক্টর ৮
কুষ্টিয়া, যশোর, খুলনা ও ফরিদপুরের কিছু অংশ নিয়ে এই সেক্টর গঠিত হয়। এপ্রিল থেকে আগস্ট পর্যন্ত এই সেক্টরের কমান্ডার ছিলেন মেজর আবু ওসমান চৌধুরী ও আগস্ট থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত মেজর এম এ মঞ্জুর।  

সেক্টর ৯
খুলনার কিছু অংশ, বরিশাল ও পটুয়াখালী এই সেক্টরের অন্তর্ভুক্ত ছিল। ডিসেম্বরের শুরু পর্যন্ত সেক্টর কমান্ডারের দায়িত্বে ছিলেন মেজর এম এ জলিল এবং তারপর ছিলেন মেজর জয়নাল আবেদীন।

সেক্টর ১০
নৌ কমান্ডো, সমুদ্র উপকূলীয় অঞ্চল ও অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন নিয়ে গঠিত হয় ১০ নম্বর সেক্টর। এই সেক্টরের কোনো আলাদা সেক্টর কমান্ডার ছিলেন না। নৌ কমান্ডোরা যখন যে সেক্টরে মিশনে নিয়োজিত থাকতেন, তখন সে সেক্টরের কমান্ডারের নির্দেশে কাজ করতেন।

সেক্টর ১১
এই সেক্টরের অধীনে কিশোরগঞ্জ বাদে ময়মনসিংহ ও টাঙ্গাইল জেলা ছিল। এপ্রিল থেকে নভেম্বর পর্যন্ত সেক্টর কমান্ডার ছিলেন মেজর আবু তাহের ও তারপর ফ্লাইট লেফট্যান্যান্ট এম হামিদুল্লাহ।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫০ ঘণ্টা, মার্চ ০৫, ২০১৬
এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।