আজ সকালে দেখতে চেয়ে মায়ের মুখে হাসি
বাষ্প হয়ে বাতায় ফুঁড়ে আকাশ নীলে ভাসি।
উড়তে উড়তে হঠাৎ একটি পাখির সাথে দেখা
বললাম আমি যাচ্ছ কোথায় ঝাপটে এমন পাখা?
বলল পাখি যাচ্ছি আমি দেখতে আমার মাকে
দূর গ্রামের একটি বাসায় মা যেখানে থাকে।
বললাম আমি তোমার বাড়ি এখনো অনেক দূর
বলল পাখি পরের গ্রমেই নামটা অচিনপুর।
অচিনপুর! নয়তো দূর সেখানেই আমার বাড়ি
আমিও আজ সকালে দিয়েছি সেখানে পাড়ি।
আমার মাও বাড়িতে থাকেন একা সেখানে পড়ে
এই শহরে আসেন না তো ভিটে মাটি ছেড়ে।
তাইতো আমি সময় পেলেই মায়ের কাছে যাই
স্নেহ আদর ভালোবাসার হাতের ছোঁয়া পাই।
বলল পাখি আমিও তাই একটু সময় পেলে
মায়ের কাছে যাই ছুটে যাই কাজ-কর্ম ফেলে।
আজ যাচ্ছি মা দিবসে নিতে মায়ের ওম
ঢাকায় আমি ফিরব আবার রোব কিংবা সোম।
বললাম আমি খুব শিগগির আসব ফিরব ঢাকায়
মাকে নিয়ে আসব চলে মেঘের গাড়ির চাকায়।
বাড়ি পৌঁছে দেখি মাগো খাচ্ছ তুমি ভাত
আমায় দেখে এলে ছুটে জড়িয়ে ধরলে হাত।
মা বললেন, মন বলল আজ আসবি তুই
তাইতো আমি রেঁধে রেখেছি লাউ চিংড়ি পুঁই।
নিয়ে যাওয়া গিফটা যখন দিলাম মায়ের হাতে
বললেন, খেয়ে নেরে খোকা দেখবো ওটা রাতে।
রাত্রি শেষে মেঘের ভেলায় রওয়ানা দিলাম ভোরে
মা নীরবে চোখের পানি ফেলছে ঘরের দোরে।
মা এলো না আমার সাথে ছাড়লো না তো ঘর
সন্তান যাই করুক না কেন মা করে না পর।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪০ ঘণ্টা, মে ০৯, ২০১৬
এএ