হাজার কথার তোড়ে আমি হারিয়ে ফেলেছি ছন্দ,
খুঁজে খুঁজে হয়রান তবু খুঁজতে লাগে না মন্দ।
মন বিছিয়ে দেখবো তাই চশমা পরিনি চোখে,
দ্রুত চলেছি পরিচিত মুখ এলিয়ে পেছনে ফেলে।
তবুও ফের, ‘কেন অবেলায় বেরিয়েছি আমি পথে?’
চেনা মুখগুলো ভ্রুকুটি করে সেই কথা জিজ্ঞাসে।
উত্তরে মৃদু মাথা নেড়ে, পার করি অলি গলি।
অগোচরে আমি একা একা মনে মনে বলে চলি;
শুধু জানি আমি জীবনের মাঝে লুকিয়ে রয়েছে ছন্দ,
সুখ-দুঃখ সব একসাথে থাকে নেই কোনো দ্বন্দ্ব।
হায়! কৃত্তিম অভাবে মগ্ন সবাই করছে আর্তনাদ,
অনুভূতিগুলো সোনায় মোড়া ভেতরে শুধু খাদ।
নাহ, সব কিছু মেকি, নেই জীবনের কোনো রেশ,
বরং ওই বস্তিতে দেখ, এক মা শুকায় কেশ।
কোলেতে তার ছোট্ট মেয়েটা হয়তো বছর তিন,
চারপাশের নানান কিছু চিনছে-শিখছে প্রতিদিন।
মায়ের কাছে বায়না, তার চাই এক জোড়া জুতো,
এইটে তার চাই-ই চাই চলবে না কোনো ছুতো।
মেয়ের মুখে আবদার শুনে প্রসন্ন মুখ তার,
হেসে বলে, হবে সোনা মাসে দুদিন বাকি আর।
ঝিয়ের কাজ করে সে দু’বেলা অন্য লোকের ঘরে,
মাস গেলে তাই জুতো কেনা হবে মাইনে পাওয়ার পরে।
আশেপাশে কতো লোকজন, গোলমাল চারিদিকে,
কিন্তু, আমার দু’চোখ শুধু হাসিমুখ দু’টো দেখে।
ছোট সংসার গরিব ওরা, কালো মতো দু’টো মুখ,
তবুও চোখেতে আশার আলো, ওটিই হলো সুখ।
আমার মনে রঙ ভরেছে ওদের সুখের আলো,
আক্ষেপ সব মিলিয়ে গেছে মন হয়েছে ভালো।
ঘরে ফিরে তাই লিখতে বসেছি আজকের বৃত্তান্ত,
লেখা শেষে দেখি একি হায়! মিলে গেছে কিছু ছন্দ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৩ ঘণ্টা, মে ২২, ২০১৬ৎ
এসএনএস