ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইচ্ছেঘুড়ি

রহস্য দ্বীপ (পর্ব-২)

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১৬
রহস্য দ্বীপ (পর্ব-২)

এনিড ব্লাইটন (১৮৯৭-১৯৬৮)
ব্রিটিশ শিশু সাহিত্যিক এনিড মেরি ব্লাইটন ১৮৯৭ সালে দক্ষিণ লন্ডনে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা-মায়ের তৃতীয় সন্তান ব্লাইটন-মেরি পলক নামেও পরিচিত।

ছোটবেলায় তিনি সঙ্গীত ও বই পড়ায় বিশেষ আগ্রহী ছিলেন। বেকেনহ্যামের সেন্ট ক্রিস্টোফার হাইস্কুলে লেখাপড়া শেষ করার পর তিনি সঙ্গীত চর্চার ইতি টানেন। পরে ইপসুইচ হাইস্কুলে কিন্ডারগার্ডেন শিক্ষকতার ওপর প্রশিক্ষণ নেন।

এনিড ব্রাইটন শিশুদের জন্য প্রচুর সংখ্যক বই লিখেছেন। তার চল্লিশ বছরের জীবনকালে তিনি প্রায় ৮শ’রও বেশি বই লিখেছেন। লেখার বিষয় হিসেবে বেশির ভাগ সময়ই তিনি বেছে নিয়ে ছিলেন শিশুতোষ রোমাঞ্চ, রহস্য বা যাদুআশ্রয়ী কল্পনা। তার উল্লেখযোগ্য গল্প হলো: দ্য ফেমাস ফাইভ, দ্য সিক্রেট সেভেন, দ্য ফাইভ ফাইন্ড-কোয়াটার্স, নোডি, দ্য উইসিং চেয়ার, মালোরি টাওয়ার্স এবং সেন্ট ক্লারে। ইনডেক্স ট্রান্সলেশনাম-এর মতে ২০০৭ সালে ব্লাইটন বিশ্বের পঞ্চম জনপ্রিয় লেখক। তাদের এ তালিকায় লেনিনের পর ও শেক্সপিয়রের আগে ব্লাইটনের নাম ঠাঁই পায়।

২. (প্রথম পর্ব প্রকাশের পর)

মাইক বললো, আর হেনরি খালুও তো। এখন আমারা কেউই স্কুলে যাই না, আর সকাল থেকে রাত পর্যন্ত আমাকে মাঠে খালুকে সাহায্য করতে হয়। তাতে আমি কিছু মনে করি না, তবে আশা করি হ্যারিয়েট খালা এই দুটা মেয়ের সঙ্গে এতোটা খারাপ আচরণ করবেন না। ওরা খুব একটা বড় নয়, আর সে ওদের দিয়ে ঘরের সব কাজ করান।

ধোয়া মোছার সব কাজ এখন আমিই করি, নোরা বলে। “ছোট-খাটো কাজে কিছু যায় আসে না, তবে পর্দাগুলো খুব বড় আর ভারি।

এছাড়া সব রান্নাবান্না আমাকেই করতে হয়, পেগি বলে। চুলাটা খুব তেতে ওঠায়, কালকে আমি একটা কেক পুড়িয়ে ফেলেছিলাম, আর হ্যারিয়েট খালা সারাদিন আমাকে কিছুই খেতে দেননি সেই অবস্থাতেই আমাকে বিছানায় যেতে হয়!

আমি জানালা বেয়ে ওকে ক’টা রুটি আর চিজ দিয়েছিলাম, মাইক বলে।

আর খালু আমাকে ধরে এমনই ঝাঁকুনি দেয় যে এরপর অনেকক্ষণ আমি সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারিনি। আমাকেও রাতে না খেয়ে থাকতে হয়, আর আজকে সকালে ছোট্ট এক টুকরো রুটি দেওয়া হয়।

মাসের পর মাস পেরিয়ে গেলেও আমরা কোন নতুন জামা পাইনি, পেগি বলে। আমার জুতো জোড়ার অবস্থা ভয়ানক খারাপ এবং আমি জানি না শীত আসার পর আমরা সবাই কী করবো, কারণ আমাদের কারো কোটই গায়ে লাগছে না।

তোমাদের অবস্থা আমার চেয়ে অনেক খারাপ, জ্যাক বলে। আমি কখনই ভালো কিছু শুনিনি। তাই আমি তা টের পাই না। কিন্তু তোমরা তো যা চেয়েছ সবই পেয়ে এসেছ, আর এখন সবই তোমাদের কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হচ্ছে, এমন কী যাদের কাছে সাহায্য চাইতে পারতে সেই মা-বাবা এখন তোমাদের সঙ্গে নেই।

মা-বাবার কথা কি তুমি মনে করতে পারো, জ্যাক? মাইক জিজ্ঞেস করলো। মাইক আরও বললো, তুমি কি শুরু থেকেই তোমার বুড়ো দাদার সঙ্গে আছ?

তাকে ছাড়া আর কারো কথাই আমার মনে নেই, জ্যাক বলে। তাকে আমার এক খালার সঙ্গে গিয়ে থাকতে বলা হচ্ছে। তিনি যদি তা করেন আমি পুরোপুরি একা হয়ে পড়বো, কারণ খালা আমাকেও নেবেন না।

[চলবে...]

এর আগের পর্ব: রহস্য দ্বীপ (পর্ব-১)

বাংলাদেশ সময়: ০১৪৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১৬
আইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।