সেই ছোট্টবেলার পাশের বাসার বন্ধুটির কথা কী তোমার মনে আছে? তার কথা মনে থাক বা না থাক, এখন স্কুলে তো তোমার বন্ধুর শেষ নেই। আর বাসায় প্রিয় বন্ধু বাবা-মা তো রয়েছেই।
তবে মজার ব্যাপার হচ্ছে, তোমার প্রিয় বন্ধুটির জন্য বছরে রয়েছে একটি বিশেষ দিন। আর এই বিশেষ দিনটি হচ্ছে ‘বন্ধু দিবস’। যে দিবস বা দিনে বন্ধুদের সাথে তোমরা মিশে যেতে পারো আপন মনে। প্রিয় বন্ধুকে নিয়ে ঘুরতে পারো সুন্দর সব জায়গায়। খেতে পারো মজার মজার খাবার।
এতো কথা কেন বলছি জানো? কারণ রোববার অর্থাৎ ৭ আগস্ট হচ্ছে ‘আন্তর্জাতিক বন্ধু দিবস’। তাই দিনটিকে তোমরা রাঙিয়ে নিতে পারো মনের মত করে। আর বন্ধুদের সঙ্গে মজা করতে পারো ইচ্ছেমতো। কিন্তু যে দিবসে তোমরা এতো মজা করবে, সে দিবসটি কিভাবে এলো তা কি তোমরা জানো? তাহলে শোনো...
প্রতি বছর সারা বিশ্বে আগস্ট মাসের প্রথম রোববার পালিত হয় ‘আন্তর্জাতিক বন্ধু দিবস’। ১৯৩৫ সাল থেকে আমেরিকার দেশগুলোতে এই দিনটি বন্ধু দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে। যতদূর জানা যায়, ১৯৩৫ সালে আমেরিকার সরকার এক ব্যক্তিকে হত্যা করে। দিনটি ছিল আগস্টের প্রথম শনিবার। তার প্রতিবাদে পরের দিন ওই ব্যক্তির এক বন্ধু আত্মহত্যা করেন। এরপরই জীবনের নানা ক্ষেত্রে বন্ধুদের অবদান আর তাদের প্রতি সম্মান জানানোর লক্ষ্যে আমেরিকান কংগ্রেস ১৯৩৫ সালের আগস্ট মাসের প্রথম রোববারকে বন্ধু দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর ধীরে ধীরে এই দিবসটি সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে।
আর দেরি না করে বন্ধু দিবসে প্রিয় বন্ধুকে নিয়ে কী কী করতে চাও এখনই সে চিন্তা ভাবনা শুরু করে দাও। আর তোমার ও তোমাদের বন্ধুদের জন্য ইচ্ছেঘুড়ির পক্ষ থেকে থাকছে বন্ধু দিবসের শুভেচ্ছা।