সক্রেটিসের শৈশব সম্পর্কে কিছু জানা যায় না। তার নাক নাকি ছিলো থ্যাবড়া।
জ্ঞান, শিক্ষা দিয়ে তিনি এথেন্সের মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নেন। তার অনুসারীর সংখ্যা বাড়তে থাকে। তার প্রিয় শিষ্য প্লেটো প্রচার করতে থাকেন গুরুর শিক্ষা-দীক্ষা। কিন্তু দেশটির সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সক্রেটিসের এ খ্যাতি মেনে নেয়নি। পছন্দ করেনি তার শিক্ষা-দর্শন।
একপর্যায়ে তারা অভিযোগ করেন, সক্রেটিস নাকি যুব সমাজকে বিপথগামী করছেন। এ অভিযোগে তাকে ঢোকানো হলো কারাগারে। কিন্তু এতেও তাকে থামানো যায়নি। তাই সিদ্ধান্ত হয় মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার।
মৃত্যুর আগে তাকে পালানোর সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি পালাননি। পরে হেমলক বিষ পান করিয়ে নির্মমভাবে তাকে হত্যা করা হয়। কিন্তু তিনি বেঁচে আছেন বিশ্বজুড়ে অসংখ্য অনুসারীর মধ্যে।
সক্রেটিসের কয়েকটি উক্তি:
• বিস্ময় হলো জ্ঞানের শুরু।
• টাকার বিনিময়ে শিক্ষা অর্জনের চেয়ে অশিক্ষিত থাকা ভালো।
• জ্ঞানের শিক্ষকের কাজ কোনো ব্যক্তিকে প্রশ্ন করে তার কাছ থেকে উত্তর জেনে দেখানো যে জ্ঞানটা তার মধ্যেই ছিল।
• বন্ধু হচ্ছে দুটি হৃদয়ের একটি অভিন্ন মন।
• পোশাক হলো বাইরের আবরণ, মানুষের আসল সৌন্দর্য হচ্ছে তার জ্ঞান।
• নিজেকে জানো।
• তুমি কিছুই জান না এটা জানা-ই জ্ঞানের আসল মানে।
• তুমি যা হতে চাও তা-ই হও।
• কঠিন যুদ্ধেও সবার প্রতি দয়ালু হও।
• মৃত্যুই হলো মানুষের সর্বাপেক্ষা বড় আশীর্বাদ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০১৭
এএ