পাখির ডিম নষ্ট করার জন্য বাবুলকে তার বাবা কয়েকবার পিটুনি দিয়ে কড়া নিষেধ করে দিয়েছে এরকম কাজ না করার জন্য। কিন্তু কে শোনে কার কথা।
বাবুলের বাবা প্রতিদিন ভোরবেলায় ঘুম থেকে উঠে মাঠে চলে যান। আসতে আসতে প্রায় সন্ধ্যা হয়। সারাদিন মাকেই সামলাতে হয় বাবুলকে। একদিন তার মা একটা কাজে পাড়ায় বের হন। বাড়িতে তখন কেউ ছিল না। ঠিক ওইসময় বাবুল রান্নাঘর থেকে কেরোসিনের ল্যাম্প জ্বালিয়ে চৌকির উপর রাখে।
প্লাস্টিকের বলপেন জোড়া লাগিয়ে খেলনা তৈরি করতে শুরু করে। অসতর্ক হয়ে খেলার কারণে তার হাতের ধাক্কায় ল্যাম্পটি বিছানায় পড়ে যায়। ল্যাম্পটি পড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিছানায় আগুন লেগে যায়। ভয় পেয়ে বাবুল দ্রুত ঘর থেকে বাইরে বেরিয়ে নিরাপদ দূরত্বে দাঁড়িয়ে ভয়ে কাঁপতে থাকে। কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘর থেকে ধোঁয়া বের হতে থাকে। ভয় পেয়ে সে পালিয়ে যায়।
ঘরে আগুন লাগা দেখে লোকজন চিৎকার চেঁচামেচি করতে থাকে। তারা দ্রুত আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। উপস্থিত গ্রামবাসীদের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও তেমন কোনো লাভ হয়নি। ঘরের ভিতরের সব জিনিসপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এ ঘটনায় বাবুলের মা খুব কান্নাকাটি করতে থাকে। খবর পেয়ে বাবাও দ্রুত মাঠ থেকে বাড়িতে ফিরে আসেন।
তাৎক্ষণিকভাবে কেউ আগুন লাগার কারণ বলতে পারে না। কিন্তু বাবুলকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। অবশেষে সন্ধ্যার আগে বাবুল বাড়িতে ফিরে আসে। ভয়ে কাঁদতে থাকে। সে ঘরে আগুন লাগার কথা সবার কাছে স্বীকার করে। আর কখনও এধরনের কাজ করবে না বলে অনুতপ্ত হয়ে মা-বাবার কাছে ক্ষমা চায়। মা-বাবা তাকে ক্ষমা করে দেয়। এরপর থেকে বাবুল কখনও মা-বাবার অবাধ্য হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৫ ঘণ্টা, মার্চ ০৮, ২০১৭
এএ