আমাদের তখন ভরা সংসার। বাবা-মা, ভাই-বোন সবাই মিলে ঘরটা থাকতো মুখর।
ভোরবেলা ওঠেই সবার আগে বিশাল দীঘিতে গোসল করতে যাওয়ার প্রতিযোগিতা। মনে আছে, ‘জানে সাবাহ্’ নামে মিষ্টি ঘ্রাণের একটা সাবান তখন খুব জনপ্রিয় ছিল। ওটা দিয়েই গোসল পর্ব সারতাম। এরপর নতুন কাপড় পড়ে নামাজে যাওয়া। নামাজ শেষে বন্ধুদের সঙ্গে বাড়ি বাড়ি যাওয়া। তখন ‘দাওয়াত’ এর কোন প্রচলন ছিল না। প্রতিটি ঘরের দরজাই আমাদের জন্য খোলা থাকতো। এখনকার ছেলেমেয়েরা তো ঈদে পাশের ফ্ল্যাটেও ঢুঁ দেয় না!
তখনকার ঈদের সঙ্গে এখনকার ঈদের মূল যে পার্থক্য সেটি হলো, তখন আমাদের আনন্দের ভার ছিল বাবার মাথায়, তিনিই সবকিছু যোগাড় করতেন। আর এখন আমি-ই সেই ব্যক্তি যাকে তার সন্তানের জন্য চিন্তা করতে হয়। নিতে হয় দায়িত্ব। তবুও তাদের মুখের হাসিতেই এখন খুঁজে পাই ছেলেবেলার ঈদ আনন্দ।