ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইচ্ছেঘুড়ি

রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৩৮)

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৩৮ ঘণ্টা, মে ৪, ২০১৭
রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৩৮) রহস্য দ্বীপ

[পূর্বপ্রকাশের পর]
ওরা মাঠ পেরিয়ে ঘন বনের ভেতর দিয়ে নৌকার কাছে ফিরে আসে। গরুটা বনের কাছে এসে আর হাঁটতে চায় না। ওরা কোথায় যাচ্ছে সেটা সে দেখতে পাচ্ছিল না। তার ওপর গায়ে গায়ে লেগে থাকা গাছের ডালপালার মাঝ দিয়ে টেনে নেওয়া ওর পছন্দ হয় না। সে হাম্বা হাম্বা করে চেঁচাতে শুরু করে।

আরে, এভাবে ডাকিস না! ঘাবড়ে গিয়ে জ্যাক বলে। তুই তো আমাদের ধরিয়ে দিচ্ছিস, ডেইজি।



হাম্বা....আআ....আআ! শক্ত হয়ে দাঁড়িয়ে থেকে, কাতর স্বরে ডেইজি বলে। তবে মাইক আর জ্যাক তাকে টানতে থাকে।

ওকে নৌকার কাছে নিয়ে আসা খুব কষ্টের কাজ। লেকের কাছে আসতে ছেলেগুলোর কম করে হলেও দু’ঘণ্টা সময় লাগে। এর মধ্যে ডেইজি বারো তেরো বার চেঁচিয়ে উঠেছে, প্রতিবার আগেরবারের চেযে জোরে, আর তাতে জ্যাক ভাবতে শুরু করে যে ওকে দ্বীপে নিয়ে যাওয়ার বুদ্ধিটা আদৌ ভালো কিছু নয়।

ধরা যাক, ওর হাম্বা ডাকে লোকে তাদের অবস্থান জেনে গেলো, তখন তারা ওদের পিছু নিলে? আন্দাজ করা যাক, দ্বীপে গিয়ে প্রচণ্ড চিৎকার জুড়ে দিলে? ওরা তখন কী করবে?
অবশেষে ওরা তাকে নৌকার কাছে নিয়ে আসতে পারে। জ্যাক অসহায়, ভীত গরুটিকে বুঝিয়ে শুনিয়ে পানিতে পা ফেলতে রাজি করায়। তখনই সে এমন জোরে হাম্বা বলে চিৎকার জুড়ে দেয় যে তাতে ছেলে দুটিও চমকে ওঠে। তবে শেষ পর্যন্ত সে পানিতে নামে। ছেলেরা নৌকায় উঠে, এবং ধাক্কা মারে। জ্যাক গরুর দড়িটা নৌকার পেছনে বাঁধে। ছেলেরা বৈঠা বাইতে শুরু করে এবং অসহায় ডেইজি টের পেতে থাকে ওকে টানা হচ্ছে, পা দিয়ে সে গভীর জলে সাঁতার কাটছে!

কাছের ছাউনিতে দুধ দিতে যাওয়া ছাড়া আগে কখনও মাঠের বাইরে আসেনি এমন একটা গরুর জন্য এটা সত্যিই খুব ভয়ানক একটা অভিজ্ঞতা! সে তার লম্বা পা গুলো ছুড়তে থাকে এবং প্রকাণ্ড মাথাটিকে উঁচু করে জলের ওপর ভাসিয়ে, অদ্ভুতভাবে একটু একটু করে সাঁতরাতে থাকে। সে এতটাই ভড়কায় যে হাম্বা ডাক ডাকতেও ভুলে যায়।

ইচ্ছেঘুড়ি

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩০ ঘণ্টা, মে ০৪, ২০১৭
এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।