অবিকল সাপই যেন। মনে হয় এক্ষুণি ফোঁসফোঁস শব্দে ফণা তুলে বাগিয়ে এলো কারো দিকে।
এরা সাপ নয়, তবে আমাদের দেশের বাইম মাছেরই যমজ ভাই বলতে পারো এদের। বেশ পিচ্ছিল শরীর। আর এমন চ্যাটচ্যাটে শরীর হওয়ার জন্য যে কারোই মনে হতে পারে এই বুঝি হাত থেকে ছুটে গেল মাছটি। তবে কি জানো এদের এই পিচ্ছিল শরীর শত্র“র হাত থেকে বাঁচাতে বেশ সাহায্যও করে। আর যেজন্য নিশ্চিন্ত মন নিয়ে যেখানে-সেখানে ঘুরেও বেড়ায় এরা।
তবে দেখতে যেমনই লাগুক না কেন, বেশ উপকারী মাছ এরা। সমুদ্রের কোথাও কোন ময়লা-আবর্জনা দেখতে পেয়েছে কী সঙ্গে সঙ্গে খেয়ে-দেয়ে সাফ-সুতোরো করে ফেলে এরা। এমন কি বাদ যায় না পানিতে ভেসে আসা পচা-ধচা ময়লাগুলোও। আর এজন্য শিকার খুঁজতে গিয়ে এদের তেমন কাঠ-খড় পোড়াতে হয় না।
সেজন্যই বুঝি হেগদের নামের সঙ্গে জুড়িয়ে দেয়া হয় ‘পরিবেশের বান্ধব’ শব্দটি। স্বাদেও অতুলনীয়। আর যে জন্য সুস্বাস্থ্য ও আর্থিক লাভের কথা মাথায় রেখে অনেক দেশে রীতিমতন ঘটা করে চাষ করা হচ্ছে এই মাছ।
কোরিয়া ও এশিয়ার কিছু দেশে এর তৈরি খাবার এমনই জনপ্রিয় যে, এই মাছ না হলে যেন অপূর্ণই থেকে যায় সেই সময়ের খাবারটা। শুধু কী স্বাদই নয়, এর চামড়ারও রয়েছে যথেষ্ঠ কদর। বিশেষকরে আমেরিকায় বেশ চড়া দামেই বিকানো হয় হেগদের চামড়া।