‘শিক্ষার অধিকার সবার। ছেলে হোক আর মেয়ে হোক, সবাই স্কুল যাওয়ার সুযোগ পাবে।
শিশুদের এই অধিকারের কথাগুলো তোমরা দেখেছো একটি কার্টুনে। হুম, আমি মীনা কার্টুনের কথাই বলছি। যে কার্টুনে তোমরা তোমাদের নিজেদের কথাগুলো মীনা আর রাজুর মাধ্যমে জানতে পারছো।
২৪ সেপ্টেম্বর, শনিবার। আমাদের বন্ধু মীনার দিন আজ। মীনা দিবস। শিশুদের জন্য কাজ করা জাতিসংঘের অঙ্গসংগঠন ইউনেস্কো মীনার জন্য আলাদা করে বেছে দিয়েছে এই দিনটিকে। তোমরা যারা মীনাকে ভালোবাসো, তারা মীনার মতই ভাবতে আর সবার জন্য কাজ করতে উদ্বুদ্ধ হও - এটাই মীনা দিবসের উদ্দেশ্য।
এখনো যারা মীনাকে চিনতে পারোনি তাদের জন্য বলছি, মীনা হলো ৯ বছরের একটি মেয়ের কার্টুন চরিত্র। যে একজন শিশুর ভাষায় গুরুতপূর্ণ সামাজিক বিষয় সম্পর্কে কথা বলে। যা শিশুরা নিজেদের বিষয় হিসেবে বুঝতে পারে এবং সে সমভাবে বড়দেরকেও উদ্বুদ্ধ করে।
মীনা বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কায় এখন মেয়ে এবং শিশুদের অধিকারের একটি প্রতীকে পরিণত হয়েছে। এমন কি, মীনা এখন অনেক দেশে ভ্রমণ করে। শিশু-শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পুষ্টি, নিরাপত্তা, শিশুদের অধিকারসহ অনেক সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কিত বার্তা প্রচারের জন্যে মীনাকে ব্যবহার করা হয়।
মীনার সবশেষ কার্টুনটি কী নিয়ে জানো?
সুনামি আর ভূমিকম্পের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগে শিশুরা ঠিক কী করতে পারে, নতুন কার্টুনে সে বিষয়টিই তুলে ধরা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে ‘যাদুর পাথর’ (ম্যাজিক স্টোন) এবং ‘রূপকথার দেশে মীনা’ (মীনা ইন ফ্যান্টাসিল্যান্ড)।