কিন্তু জ্ঞান-বিজ্ঞানের উন্নতির ফলে মানুষ যখন সৃষ্টিরহস্য সম্পর্কে আরো বেশি জানতে পারল, তখন লাইটফুটের দাবি আর টিকে থাকেনি। কারণ, আজ থেকে প্রায় ২০ কোটি বছর আগে পৃথিবীতে ছিলো ডায়নোসরদের বসবাস।
তাছাড়া বর্তমানে আমরা পৃথিবীর জলবায়ু ও ভূ-প্রকৃতি যেমনটা দেখছি, অনেক আগে তেমনটা ছিলো না। সৃষ্টির শুরুতে পৃথিবী ছিলো প্রচণ্ড উত্তপ্ত এক আগুনের গোলক। কোটি কোটি বছরের সুদীর্ঘ বিবর্তনের ফলে তা ধীরে ধীরে ঠান্ডা হয়। সুতরাং বলা যায়, পৃথিবীর সৃষ্টি একদিনের কোনো ঘটনা নয়।
আধুনিক ভূ-তাত্ত্বিকদের মতে পৃথিবীর জন্ম হয়েছিলো আজ থেকে প্রায় ৪৫০ কোটি বছর আগে। এখন প্রশ্ন হলো, বিজ্ঞানীরা কেমন করে পৃথিবীর বয়সের ধারণা পেলো? পদ্ধতিটা বেশ মজার।
পাথরে তেজস্ক্রিয়তার পরিমাণ পরীক্ষা করে পৃথিবীর বয়স সম্পর্কে একটা আনুমানিক ধারণা পেয়েছিলেন বিজ্ঞানীরা। এই ধারণাটিকে আরো সুনির্দিষ্ট করে রেডিয়াম নামক অদ্ভুত এক ধাতু।
রেডিয়াম একটি মৌলিক পদার্থ। প্রকৃতিতে এই রেডিয়াম খুবই বিরল। এর সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হলো, এই ধাতু তেজস্ক্রিয় রশ্মি বিকিরণ করতে করতে বহু বছর পরে সাধারণ সীসায় রূপান্তর হয়। কত বছরে কতটা রেডিয়াম সাধারণ সীসায় রূপান্তরিত হয়- তা বিজ্ঞানীদের জানা। এভাবেই পৃথিবীর অভ্যন্তর থেকে প্রাপ্ত রেডিয়ামের মধ্যে সীসার পরিমাণ পরীক্ষা করে বিজ্ঞানীরা প্রমাণ করেছেন পৃথিবীর বয়স প্রায় ৪৫০ কোটি বছর।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০১৭
এনএইচটি/এএ