এক বিকালে নদীর ধারে হাঁটছিলাম তো বেশ
জুতার তলে ‘দুর্বা’ ‘ঢেউস’ বাটছিলাম অশেষ
জুতার চাপে ঘাসেরা সব করছিল ছটফট
তাইতো জুতা হাতে নিলাম অমনি ঝটপট
খালি পায়ে সবুজ ঘাসে যেই ফেলেছি পা
আর তখনই শিরশিরিয়ে উঠল সারা গা
দেখি ঘাসের একটি মিনার দাঁড়িয়ে আছে ঠায়
কাঁকশিয়ালি নদীর একূল ছাড়িয়ে দূরে ধায়
বললো আমায় কাছে এসে একটুখানি শোনো
কাছাকাছি আসতে বলায় ভয় পেয়ো না কোনো
কোন কারণে জুতাজোড়া হাতে তুলে নিলে
ঘাসের এমন মিনার দেখে ভয় কি পেয়ে ছিলে?
বললাম আমি বুক ফুলিয়ে বিষয় সেটি নয়
ঘাসের মিনার দেখে আমি পাইনি মোটেও ভয়
সবুজ ঘাসে জুড়ায় দুচোখ দলতে ইচ্ছে হলো না
মন বললো পা থেকে ‘জুতা জোড়া খোলো না’
এটা ভেবেই ঘাসের ওপর জুতা খুলে হাঁটি
পা দুটি চাই ছুঁয়ে থাকুক সবুজ ঘাস ও মাটি
আমার কথা শুনে মিনার বললো কাছে এসো
সবুজ ঘাসের মিনার জুড়ে দুপা মেলে বসো
নদীর পাড়ের সবুজ ঘাসের প্রাণ জুড়ালে তুমি
তাইতো তোমার পদযুগল দিলাম আমি চুমি।
ইচ্ছেঘুড়ি
এক বিকালে নদীর ধারে
ইমরুল ইউসুফ | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।