খরগোস এসে কেঁদে কেঁদে বললো, শেয়াল ভাই, আটুল আমার ছোট ভাইটিকে ধরে নিয়ে গেছে।
একটু পরেই গেলো বেজি আর খট্টাস।
এসব কথা শুনে এক শেয়াল গেলো আটুলের কাছে। আটুল ছিল ক্ষুধার্ত। শেয়াল কিছু বলার আগেই তাকে খপ করে ধরে কামড়িয়ে রক্তাক্ত করে ফেললো। সে কোনোমতে ল্যাংড়াতে ল্যাংড়াতে চলে এলো। আটুলের ভয়ে বন কম্পমান।
সব পশু-পাখি গেলো এক মুরব্বি শেয়ালের কাছে। তারা বললো, তোমরা কোনো লোভে পড়ে এ হিংস্র আর ভয়ংকর আটুল বাটুলকে এ বনে থাকতে দিয়েছো? এখন তো এ বনে আর থাকা নিরাপদ নয়। আটুল বাটুলের পেটে চলে যাওয়ার আগে তাড়াতাড়ি একটা ব্যবস্থা করো নইলে পালাও, বললো তারা।
এসব কথা শুনে শেয়ালের কান গরম হয়ে গেলো। শেয়ালেরা পরামর্শ করে পরের দিন আটুলের কাছে গিয়ে বললো, এ বনে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য তোমাদের থাকতে দিয়ে কি আমরা অপরাধ করেছি? কই তোমাদের শান্তি? তোমরা বনে অশান্তি সৃষ্টি করছো। এভাবে চলতে পারে না। তোমরা কী চাও বলো।
বাটুল শান্ত গলায় বললো, শান্তি যদি চাও তো আটুল মশাইকে বনের রাজা বানাতে হবে। রাজা না হয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা যায় না। শেয়ালেরা বললো, এতদিন তো আমরা বনের রাজা ছাড়াই মেলা সুখে শান্তিতে ছিলাম। এখন রাজা বানাতে হবে কেন?
বাটুল বললো, শান্তি চাও তো রাজা বানাও।
তারা মুখ চাওয়া-চাওয়ি করে আটুলকে বললো, আচ্ছা ঠিক আছে, এ বনের রাজা বানালাম তোমাকে। এবার হলো তো?
বাটুল মুচকি হেসে বলে, তাহলে আমি হলাম গিয়ে তোমাদের রানি। কী, আমি রানি না?
শেয়ালেরা খুব কষ্ট করে বললো, হ্যাঁ তুমি হলে আমাদের রানি। মানে রানি মা।
আটুল বললো, তোমরা এবার রাজা-রানিকে কুর্নিশ করে চলে যাও। আগামীকাল বিকেলে ওই মাঠে সবাই উপস্থিত থাকবে। ঠিক আছে?
সবাই নতুন রাজা আর রানিকে কুর্নিশ করে যার যার ঘরে চলে গেলো।
**আটুল আর বাটুল (পর্ব)-১ | বিএম বরকতউল্লাহ্
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৭
এএ