না এখনও প্রচণ্ড রেগে অস্থির হয়ে থাকা মাইক, জ্যাক আর পেগির সঙ্গে গিয়ে বসার চেয়ে সে বরং এখানেই থাকুক না, পুরোপুরি একাকী।
‘তাহলে, মুরগিগুলো কোথায় গেলো!’ পাহাড় থেকে নেমে সৈকতে জ্যাকের সঙ্গে দেখা হতেই, মাইক বলে।
অবাক হচ্ছি, জ্যাক বলে। ওরা তো আর দ্বীপ থেকে উড়ে চলে যেতে পারবে না!
আমার একে ভীতিকর বলে মনে হচ্ছে, পেগি বলে; ওদের ডিম খুব মজা করে খাওয়া যেত।
নোরা একা একা ফার্নের মাঝে বসে থাকে। তার মনে হচ্ছে রাতে তাকে এখানেই ঘুমাতে হবে। ভাবে সে বুঝি আর কখনই ভাবনামুক্ত সুখী হতে পারবে না।
পেগি বানানো ভাতের পুডিং ভাগ করে, কোকা বানাতে শুরু করলে, অন্যেরা আগুনের পাশে এসে বসে। নোরা কোথায় ভেবে সবাই অবাক হয়।
‘আশা করছি, ও খুবশিগগিরই চলে আসবে, পেগি বলে।
ওরা চুপচাপ খাবার খায় আর তার পরপরই- ওহ্ কী সুন্দর একটা শব্দ ওদের কানে এসে আঘাত করে! হুম, এই তো কক্ কক্! এবং ছয়টা মুরগি সোজাসুজি সৈকতের দিকে হেঁটে আসে! বাচ্চারা অনেকক্ষণ ধরে সেদিকে তাকিয়ে থাকে! তাকিয়েই থাকে!
তোমরা কোথায় গিয়েছিলে, পাজি কোথাকার? জ্যাক চেঁচায়। আমরা তোমাদের সব জায়গায় খুঁজে দেখেছি!
“কক্ কক্, কক্ কক্!” মুরগিগুলো ডাকে।
এখন তোমাদের খাবার সময় হয়েছে এটা তোমাদের জানা, তাই খেতে এসেছ! জ্যাক বলে। আমি বলছি, সবাই শোনো! প্রতিদিন এভাবে ওদের ছেড়ে দিলে ওফ না সেটা পারা যাবে না- ওরা তাহলে দূরে গিয়ে ডিম পেড়ে আসবে আর আমরা কখনই ওগুলো খুঁজে পাবো না!
আমি ওদের খাওয়াচ্ছি, পেগি বলে। সে ওদের দিকে সামান্য ভুট্টা ছুড়ে দেয় এবং ওরা খুব আগ্রহ নিয়ে ঠুকরে খায়। তারপর নিজেদের, মাইক আর জ্যাককে মেরামত করা উঠানে রেখে আসতে দেয় এবং ওরা সেখানকার এক কোণার দিকে খাঁচার ভেতর মনের আনন্দে বিশ্রাম নিতে থাকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০১৭
এএ