ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইচ্ছেঘুড়ি

বেকিং সোডা ও ভিনেগারের আগ্নেয়গিরি!

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৩৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০১৭
বেকিং সোডা ও ভিনেগারের আগ্নেয়গিরি! বেকিং সোডা ও ভিনেগারের আগ্নেয়গিরি

ঢাকা: পৃথিবীতে কিছু পাহাড় আছে যা থেকে উত্তপ্ত গলিত পাথর, ছাই, আর গ্যাস বের হয়। সেই গলিত পাথর, ছাইগুলোর তাপমাত্রা এতোটাই বেশি থাকে যে ওগুলো টকটকে আগুনের মতোই হয়। সেই আগুন বের করা পাহাড়গুলোকেই বলা হয় আগ্নেয়গিরি। এটি একটি ভৌগলিক প্রক্রিয়া।

আগ্নেয়গিরি থেকে বেরিয়ে আসা গলিত এসব পদার্থকে বলা হয় লাভা। আর এই লাভা বেরিয়ে আসার প্রক্রিয়াকে বলা হয় অগ্ন্যুৎপাত।

প্রাকৃতিক এ কাজটি কীভাবে সম্পন্ন হয় কিংবা এর ভয়াবহতা কি তা পরীক্ষার সহজ একটি উপায় রয়েছে। বেকিং সোডা ও ভিনেগার ব্যবহার করে খুব সহজেই ছোট্ট আকৃতির একটি আগ্নেয়গিরি তৈরি করা সম্ভব।  

উপকরণ: 
১। বেকিং সোডা (ভুল করে বেকিং পাউডার ব্যবহার করলে হবে না)।
২। ভিনেগার।
৩। একটি সরু ও লম্বা আকৃতির পাত্র বা বোতল। বেকিং সোডা ও ভিনেগারের আগ্নেয়গিরি

নির্দেশনা:
১। পাত্রের ভিতর কিছু বেকিং সোডা রাখো।
২। এরপর ভিনেগার ঢেলে দাও পাত্রে।
৩। এবার প্রতিক্রিয়া খেয়াল করো।

বেকিং সোডা রাখা পাত্রে ভিনেগার ঢেলে দিতেই হিঁস-হিঁস শব্দ করে তা বেরিয়ে আসতে থাকবে। ঠিক যেমনটা আগ্নেয়গিরিতে অগ্ন্যুৎপাতের সময় ঘটে। ছোট একটি পাহাড়ের আকৃতি তৈরি করে নিলে প্রক্রিয়াটি আরও বাস্তবসম্মত দেখাবে। আর বেকিং সোডায় একটু লাল রং মিশিয়ে নিলে মনে হবে যেন সত্যিকারের লাভা বেরিয়ে আসছে আগ্নেয়গিরি থেকে।

যে কারণে এমনটা ঘটে:
বেকিং সোডা হচ্ছে সোডিয়াম বাইকার্বনেট। আর ভিনেগার এক প্রকার অ্যাসিড (অ্যাসিটিক অ্যাসিড)। সোডিয়াম কার্বনেটের সঙ্গে অ্যাসিডের রাসায়নিক বিক্রিয়ায় তৈরি হয় কার্বনিক অ্যাসিড। কার্বনিক অ্যাসিড খুবই অস্থিতিশীল। ফলে কার্বন ডাই অক্সাইড ও পানি ভেঙে আলাদা হয়ে যায়। তাই এ থেকে হিঁস-হিঁস শব্দ হতে থাকে এবং তা পাত্রটি থেকে বাইরে চলে আসে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০১৭
এনএইচটি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।