প্রধান শিক্ষক লাঞ্চে বেরোনোর ঠিক আগ মুহূর্তে লিন পিয়াও এসে শিক্ষকের দরজার সামনে হাজির হয়।
এটা কী আসার সময় হলো? কঠোর গলায় প্রধান শিক্ষক বললেন।
মাফ করবেন স্যার, বললো লিন পিয়াও। আজ অনেক দেরি করে আমি স্কুলে এসেছি। জানেন আমি আমাদের জমিতে একটা সোনার পিণ্ড পেয়েছি।
‘সোনার পিণ্ড!’ পলকেই প্রধান শিক্ষকের চোখ ছানাবড়া। ‘সোনা দিয়ে তুমি কী করবে?’
আমি একটা প্রাসাদতুল্য বাড়ি বানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবং কয়েক একর জমি ও গবাদি পশু কিনবো। ছাত্রটি স্বাভাবিক গলায় বললো। ‘এছাড়া আমাকে কষ্ট করে শিক্ষাদান করার জন্য আপনাকে কিছু টাকা দেওয়ার কথা ভেবেছি। ’
ছাত্রের কথা শুনে প্রধান শিক্ষক ভীষণ খুশি হলেন এবং তার সঙ্গে দুপুরের খাবার খাওয়ার জন্য লিনকে নিমন্ত্রণ করেন। অত্যন্ত ক্ষুধার্ত লিন গোগ্রাসে খাবার খায়। কিন্তু প্রধান শিক্ষক তেমনভাবে খাবার স্পর্শ করে না।
আসলে তিনি ভাবছিলেন, লিন তাকে কত টাকা দিতে পারে। যদি বিশাল অংকের টাকা হয়, তাহলে তিনি ছোট্ট একটা ধানি জমি কিনে মনের গোপন ঘরে পুষে রাখা এতদিনের স্বপ্ন পূরণ করবেন।
আশাকরি, তুমি কোনো গোপন জায়গায় সোনা লুকিয়ে রেখেছ,’ আচমকা দিবাস্বপ্নের মতো প্রধান শিক্ষকের মুখ ফসকে বেরিয়ে আসে।
আমার সেই সুযোগ হয়নি, লিন বললো। মা আমাকে ঘুম থেকে জাগিয়ে তোলার পরপরই সেই মুহূর্তটি পালিয়ে যায় ।
কী? প্রধান শিক্ষক চিৎকার করে উঠলেন। তাহলে তুমি বলতে চাও, ওটা স্বপ্ন ছিল?
লিন পিয়াও সম্মতির ভঙ্গিতে মাথা নাড়ে।
প্রধান শিক্ষক অনেক কষ্ট করে রাগ চেপে রাখেন।
আমি শুধু খুশি হয়েছি যে, অন্তত তুমি আমাকে স্বপ্নে স্মরণ করেছ, নিজেকে সান্ত্বনা দিয়ে একসময় প্রধান শিক্ষক নরম সুরে বললেন। ‘আমি আশাকরি, যখন তুমি সত্যি সত্যি কোনো সোনা পাবে, তখনও আমাকে স্মরণ করবে। দয়া করে এখন যাও।
লিন পিয়াও চলে যাওয়ার পরের মুহূর্তে প্রধান শিক্ষকের মনে পড়ে কেন তিনি ছাত্রকে ডেকে এনেছিলেন।
[গল্পসূত্র: ‘গুডকিডস্.কম’ ওয়েব থেকে নেওয়া। ]
বাংলাদেশ সময়: ২০৫২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৮
এএ