ঘটনা হলো, মানুষের পাকস্থলী ও ফুসফুসের মধ্যবর্তী স্থানে একটি পাতলা পর্দা থাকে। শ্বাস নেওয়ার সময় পর্দাটি নিচের দিকে নেমে যায় এবং পাকস্থলীকে চাপ দেয়, ফলে ফুসফুসে বাতাস ঢুকতে পারে।
মাঝে মধ্যে পাকস্থলীতে গ্যাস বা এসিডের পরিমাণ বেড়ে গেলে পর্দাটিতে অস্বস্তি ও যন্ত্রণা সৃষ্টি হয়। ফলে পর্দাটি সংকুচিত হয়ে পড়ে এবং ফুসফুসে বাতাস চলচলে বাধা সৃষ্টি হয়। তখন সেখান থেকে এক অদ্ভুত শব্দ বেরিয়ে আসে, এটাকেই আমরা হেঁচকি বলি। হেঁচকির মাধ্যমে পাকস্থলী থেকে গ্যাস কিংবা অবাঞ্ছিত খাদ্যবস্তুকে বের করে শ্বাস-প্রশ্বাসকে বাধাহীন রাখতে চায় মানবদেহ।
হেঁচকি শুরু হলে তা কিছুক্ষণ পর একা একাই ঠিক হয়ে যাওয়ার কথা। এটি কোনো রোগ নয়, তাই এটা থামানোর জন্য কোনো ওষুধের দরকার নেই। তবে অনেকসময় বিভিন্ন শারীরিক অসুস্থতার কারণে হেঁচকি আসতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫২ ঘণ্টা, মে ০৯, ২০১৮
এনএইচটি/এএ