মনে করা হয়, আইসক্রিমের প্রাথমিক ধারণাটি তৈরি হয় খ্রিস্টপূর্ব দ্বিতীয় শতাব্দীতে। তবে আবিষ্কারের সঠিক দিনক্ষণ ও আবিষ্কারকের নাম রয়ে যায় অজানা।
আরেকটি প্রচলিত কাহিনীতে পাওয়া যায়, রোমের সম্রাট নিরো ক্লাউডিস একবার ঠাণ্ডা কিছু খাওয়ার বায়না ধরলেন। বাবুর্চি তখন বরফ আনতে এক কর্মচারীকে পাঠায় পাহাড়ের চূড়ায়। এরপর বাবুর্চি বরফের সঙ্গে মধু ও ফল মিশিয়ে পরিবেশন করেন সম্রাটের সামনে। সম্রাট খাবারটি মুখে দিয়ে কিছুক্ষণ চুপচাপ চোখ বন্ধ করে থাকেন। এরপর অট্টহাসি দিয়ে বলেন, ‘দারুণ’।
এই ঠাণ্ডা-মিষ্টি খাবারটি তৈরির প্রক্রিয়া রোম থেকে সারা দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়তে থাকে। কিন্তু এতে আইসক্রিমের অন্যতম প্রধান উপাদান দুধ ব্যবহার হতো না। অনেকের মতে, আইসক্রিমে চিনি মেশানো শুরু হয় বাগদাদে। আর এতে দুধ ব্যবহার শুরু হয় চীনে।
১৬ শতাব্দীতে ইতালিয়ান অভিযাত্রী মার্কোপোলো দুধ দিয়ে আইসক্রিম তৈরির রেসিপি চীন থেকে ইউরোপে নিয়ে আসেন। প্রথমদিকে আইসক্রিম কেবল রাজা-বাদশা ও সম্ভ্রান্ত মানুষদের জন্যেই তৈরি হতো। ১৬৬০ সালের পর থেকে মজাদার খাবারটি সাধারণ জনগণের জন্য সহজলভ্য হয়ে উঠতে থাকে।
আইসক্রিমের প্রথম বিজ্ঞাপনটি ছাপা হয় ১৭৭৭ সালের ১২ মে নিউ ইয়র্ক গেজেটে। ১৭৯০ সালের গ্রীষ্মে প্রেসিডেন্ট জর্জ ওয়াশিংটন আইসক্রিম বাবদ ২০০ ডলার খরচ করেন। ১৯০০ সালের পর থেকে শিল্প হিসেবে আইসক্রিম বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু হয়। ১৯৪৫ সালে তৈরি হয় প্রথম ভাসমান আইসক্রিম পার্লার।
বর্তমানে আইসক্রিম অনেক সহজলভ্য। বিশ্বে এখন পাঁচ হাজারেরও বেশি প্রকারের আইসক্রিম বাজারে পাওয়া যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৪ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০১৮
এনএইচটি/এএ