গরমের ছুটি বা হয়তো ঈদের ছুটি। অথবা পরীক্ষা শেষে অবসর সময় কাটছে।
কৈশোরের নিজস্ব একটা রহস্যময়তা আছে। একটা অদ্ভুত সময় এটা। এই সময়টার একটা চমৎকার উপস্থাপনা আছে এই বইটিতে। বাবু, টুনি, ললি, আবির, এরা সেই সময়টা পার করছে, যখন তারা না প্রাপ্তবয়স্ক, না অল্পবয়সী। যা কিছু এতদিন নাগালের বাইরে ছিল, জীবনের সেই সব রহস্যের দরজাগুলি একটু যেন ফাঁক হয়ে উঁকি দিচ্ছে। কিন্তু পুরোপুরি নাগালের ভেতর আসতে চাইছে না। কেউ তাদেরকে বড় বলে ভাবছে না ঠিকই, কিন্তু কেমন করে বড়দের ব্যাপারগুলিতে ঠিকই জড়িয়ে যাচ্ছে ওরা। জীবনের দ্বন্দ্বগুলি ওদেরকেও টেনে নিচ্ছে, স্পর্শ করছে ওদের এ যাবৎ নিশ্চিন্ত-জীবনকে।
পরীা শেষ, গরমের ছুটি, এই প্রথম বাবা-মা’কে ছেড়ে, ট্রেনে করে বহু দূরে ঘুরতে যাওয়া। বাবু আর আবিরের জন্য এটাই অনেক বড় অ্যাডভেঞ্চার। কিন্তু ওরা কি জানতো একটা সত্যিকারের অ্যাডভেঞ্চার অপো করছে ওদের জন্য নুলিয়াছড়িতে? বার্মার সীমান্ত, সোনার খনি, গভীর রাতে আলোর সংকেত, অচেনা লোকেদের সন্দেহজনক আনাগোনা। সেই সাথে নায়কের মত দেখতে মেজর জাহিদ। আর নতুন বন্ধুত্বের হাতছানি। বাবু আর টুনি, ললি আর আবিরের এই ঝগড়া, এই ভাব, মান-অভিমান কিশোর পাঠকের জন্য বাড়তি আকর্ষণ। বার বার খুলে পড়া, পড়তে পড়তে কতই মনে হবে, আহা, আমিও যদি ওদের একজন হতাম! চারজন একসাথে জঙ্গলে-পাহাড়ে ঘোরাঘুরি, ‘শত্রুপ’ের ওপর নজরদারি করা, গা-ছমছমে রাতে বেরিয়ে মিথ্যামিথ্যি ভয় পাওয়া, আবার সত্যিকারের বিপদে পড়া।
‘নুলিয়াছড়ি’ যারা পড়েছে, তাদের পড়তেই হবে ‘পাথারিয়ার খনি রহস্য’। তারপর কী হল তা জানতে হবে না! নেলী খালা আবার কী নতুন কান্ড ঘটালো, জাহিদ মামারই বা কী হল, আর শয়তান পাকড়াশিকে শেষপর্যন্ত পাকড়াও করা গেলো কি না- সে সব জেনে নিতে হবে তো!
নুলিয়াছড়ির সোনার পাহাড় বেরিয়েছে ‘প্রতীক’ প্রকাশনী থেকে। আরো পাবে ‘সময় প্রকাশনী’ থেকে বের হওয়া শাহরিয়ার কবির কিশোরসমগ্রে।
ফাহিমা দূররাত
বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ১৪১৬ ঘণ্টা, ২১ জুন ২০১০
ফাহিমা/এএ/এসআরজে