একদিন হাকিমপুরের রাজা পাশের কোন রাজ্যে যাওয়ার উদ্দেশে বের হয়েছিলেন। রাজার সঙ্গে পাইক, পেয়াদা, উজির, নাজির ছিল।
হাকিমপুরের রাজা ও নূরনগরের রানি তাদের গন্তব্য স্থলে না গিয়ে নিজ নিজ রাজপ্রাসাদে ফিরে গেলেন। রাজপ্রাসাদে ফিরে গিয়ে তারা ঘোষণা দেন যে, রাজ্যের মাঝখানে যেসব হাটবাজার, পাঠশালা ও খেলাধুলার মাঠ রয়েছে তা এখন থেকে বন্ধ থাকবে। দুই রাজ্যের কেউই এগুলো ব্যবহার করতে পারবে না। এমনকি নদীতে মাছধরাও বন্ধ থাকবে। এতে সব সমস্যা আরও প্রকট আকার ধারণ করলো। এই দুই রাজ্যের আর্থিক অবস্থা দিন দিন খুব খারাপ হতে থাকলো।
একদিন শান বাঁধানো নদীর ঘাটে রাজার মেয়ে তার সখীদের নিয়ে স্নান করতে এলো। ঠিক সেই সময় নৌকায় করে রানির ছেলে তার কয়েকজন সখাকে সঙ্গে নিয়ে প্রমোদভ্রমণ করছিল। তখন রানির ছেলে রাজকুমারীকে দেখে মুগ্ধ হলেন। রানির ছেলে আগে কখনো এমন সুন্দরী মেয়েকে দেখেনি। একইভাবে রাজকুমারীও আগে কখনো এমন সুদর্শন ছেলেকে দেখেনি। তারা একে অপরকে খুব পছন্দ করলো। কিন্তু তারা কোন কথা বলার সাহস পেলো না।
বেশ কিছুদিন পর রানির ছেলে একাকী নৌকায় করে প্রমোদভ্রমণ করছিল। আর মনে মনে রাজকুমারীর কথা ভাবছিল। ঠিক ওই সময় রাজকুমারীও একাকী নদীর ঘাটে বসে বসে বিশ্রাম নিচ্ছিল আর রাজকুমারের কথা ভাবছিল। কি সৌভাগ্য! তাদের দু’জনার সঙ্গে দেখা হয়ে গেলো। রানির ছেলে তার নৌকাটি ঘাটে ভেড়ালেন এবং রাজকুমারীর সঙ্গে কথা বললেন। এতে রাজকুমারীও মনে মনে খুশি হলো। তাদের দু’জনার মধ্যে পরিচয় হলো। পরিচয় হওয়ার পর তারা খুব ভয় পেয়ে গেলো। কারণ বিষয়টি তাদের মা-বাবা জানতে পারলে আর রক্ষা নেই। তারা তাদের বন্দি করে রাখবেন।
চলবে....
বাংলাদেশ সময়: ২১১৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০১৯সদ
এএ