তাদের দেখা সাক্ষাতের বিষয়টি রানির ছেলের একজন বন্ধু আর রাজকুমারীর একজন বান্ধবী ছাড়া কেউই জানতো না। দুই রাজ্যের প্রজাদের দুঃখ-দুর্দশা লাঘবের জন্য তারা একা একা অনেক সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।
এবার রাজকুমারী আর রানির ছেলে একটা সিদ্ধান্তে উপনীত হলো। আর তা হলো— তাদের দু’জনার মধ্যে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়া। তাদের বিবাহ সম্পন্ন হলে হাকিমপুর ও নূরনগর রাজ্যের দীর্ঘদিনের বৈরী সম্পর্কের অবসান ঘটবে।
একদিন রাজকুমারী তার বাবাকে বললো: আমি নূরনগরের রাজকুমারকে পছন্দ করি। আমি তাকে বিয়ে করতে চাই। এ বিষয়ে আপনার মতামত জানতে পারলে খুশি হবো।
‘অসম্ভব! কোনোদিনই এ বিয়ে হতে পারে না। নূরনগরের রানি আমার চিরশত্রু। তার ছেলের সঙ্গে আমার মেয়ের কোনোদিন বিয়ে হতে পারে না।
--বাবা, নূরনগরের রানির পুত্রকে আমি খুব পছন্দ করি। আমার সঙ্গে তার বিয়ে হলে আমরা সুখী হবো।
--অসম্ভব। কোনোভাবেই এ বিয়ে হতে পারে না। এরপরেও যদি তুমি তাকে বিয়ে করার চেষ্ট কর বা তার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্ট কর তাহলে তোমাকে হত্যা করা হবে।
এদিকে রানির ছেলেও তার মাকে বললো, হাকিমপুর রাজ্যের রাজকুমারীকে আমার খুব পছন্দ। আমি তাকে বিয়ে করতে চাই। ’ পুত্র রাজকুমারীকে বিয়ের প্রস্তাব পাঠানোর জন্য মাকে অনুরোধ করলো। ছেলের কথা শুনে তার মা ভীষণ রেগে গেলেন। তিনি বললেন: আমি কখনো হাকিমপুরের রাজার মেয়ের সঙ্গে আমার ছেলের বিয়ে দেবো না। আর তুমি যদি রাজকুমারীকে বিয়ে করার চেষ্টা কর, তাহলে তার পরিণামও হবে খুব ভয়াবহ।
--মা, তুমি বোঝার চেষ্টা কর। আমাদের বিয়ে হলে রাজ্যে শান্তি ফিরে আসবে।
--আমি কখনও হাকিমপুরের রাজার কাছে মাথানত করবো না। এরপরও যদি তুমি তাকে বিয়ে কর তাহলে তোমাকে আমি রাজ্য ছাড়া করবো।
চলবে...
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৫ ঘণ্টা, মে ০৫, ২০১৯
এএ