একটি আফ্রিকান ধূসর তোতা ও ময়না পাখি
মানুষের কথা হুবহু নকল করতে পারার জন্য বিশ্বব্যাপী পরিচিত ময়না ও তোতা পাখি। পাখিপ্রেমীদের কাছে দু’টি পাখিই বেশ কাঙ্ক্ষিত। সহজে পোষ মানিয়ে এদের কথা শেখানো যায়। তাই মানুষকে সঙ্গ দিতে পারে এরা।
কিন্তু সব পাখি কেন কথা বলতে পারে না? আর ময়না বা তোতারই কী বিশেষ ক্ষমতা আছে যে তারা কথা বলতে পারে? চলো জেনে নেওয়া যাক।
তোতা পাখির বেশ লম্বা ও পুরু একটি জিহ্বা রয়েছে।
বাজপাখি বা ঈগলের জিহ্বাও বেশ পুরু। তবে তারা কিন্তু মানুষের স্বর নকল করতে পারে না। আবার ময়না পাখির জিহ্বা পুরু কিংবা লম্বা না হওয়ার পরও তারা সে স্বর নকল করতে পারে। তাহলে পার্থক্য কোথায়?
মূল বিষয় হলো তোতা ও ময়না পাখি অন্য পাখির চেয়ে বুদ্ধি অনেক বেশি। এজন্য এরা কণ্ঠস্বর নকল করতে পারে। এদের কথা বলা ও শোনার যান্ত্রিক ক্রিয়াকলাপ ধীরগতি সম্পন্ন। ফলে যে শব্দ এদের মুখ দিয়ে বেরিয়ে আসে তা মানুষের কণ্ঠস্বরের মতোই মনে হয়।
তবে মজার ব্যাপার হলো এরা যে কথা বলে তার অর্থ কিন্তু বোঝে না। মানুষের ঠোঁট নাড়ানো দেখে সেটাই নকল করে তোতা ও ময়না।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৫ ঘণ্টা, মে ১০, ২০১৯
এএ
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।