আমাদের নাক দু’টি হাড় দিয়ে তৈরি। হাড় দু’টি এক ধরনের সেতু তৈরি করে।
নাসারন্ধ্রের প্রান্তের দিকে শ্লৈষ্মিক ঝিল্লি বলে একটি পাতলা পর্দা থাকে। এর থেকে এক প্রকার তরল নিঃসৃত হয়ে নাককে সব সময় ভেজা রাখে। নাসারন্ধ্রের প্রান্তে থাকে দু’টি ঘ্রাণ সংক্রান্ত স্নায়ু। তাতে আবার থাকে কোষ। সেই কোষের মাধ্যমেই আমরা গন্ধ পাই।
এই কোষগুলোকে বলা হয় গ্রাহক। আমরা যখন কোনো কিছুর গন্ধ শুকি তখন সেই বস্তু থেকে আসা পদার্থ কণা নাসারন্ধ্র পথে উক্ত সংবেদনশীল জায়গায় গিয়ে পৌঁছে। সেখানকার স্নায়ুতে তখন এক প্রকার বৈদ্যুতিক ধাক্কা সৃষ্টি করে। ওই বৈদ্যুতিক ধাক্কার সংবাদ যখন মস্তিষ্কের ঘাণ কেন্দ্রে পৌঁছায় তখনই আমরা গন্ধ বুঝতে পারি।
আমাদের সর্দি লাগলে এই অনুভূতিপ্রবণ কোষগুলো ঢাকা পড়ে যায়। তখন কোনো কিছুর গন্ধ আমরা বুঝতে পারি না।
বাংলাদেশ সময়: ২১১০ ঘণ্টা, জুন ০৬, ২০১৯
এএ