বিজয়ের চল্লিশ বছরে বড়দের সঙ্গে স্মৃতিসৌধে ভিড় করে শিশুরাও। শ্রদ্ধার সঙ্গে তারা স্মরণ করে একাত্তরের শহীদদের।
শ্রদ্ধা নিবেদনের দীর্ঘ সারিতে অপেক্ষায় ছিল হাজার হাজার শিশু। কচি হাতে রক্তিম ফুল নিয়ে কেউ এসেছে বাবা-মায়ের হাত ধরে কেউবা বন্ধুর সঙ্গে।
অনেকে এবারই প্রথম স্মৃতিসৌধে এসেছে। বাবা মায়ের সঙ্গে স্মৃতিসৌধে প্রথম এসেছে ১০ বছরের অনিক। মুক্তিযুদ্ধ কী? কবে হয়েছে তাও জানা নেই তার। তবুও জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধা জানাতে ভুল করেনি সে। বাবার হাত ধরে অনিক একটি গোলাপ ফুল ছড়িয়ে দিয়েছে শহীদ বেদিতে।
ছোট্ট শিশুকে নিয়ে ঢাকা থেকে আসা ব্যবসায়ী আব্দুর রহিম জানালেন, আজকের শিশুরাই আগামী দিনের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বহন করবে। তাদের মাধ্যমেই মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বাংলাদেশের বুকে হাজার হাজার বছর লালিত হবে। শিশুরা যাতে মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে ভুল ধারণা না পায় বা ভুল পথে না যায় সে জন্যই মূলত তাদের সঙ্গে নিয়ে আসা প্রয়োজন।
মানিকগঞ্জ থেকে বাবার সঙ্গে আসা চতুর্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থী সায়মা বলে, ‘টিভিতে অনেকবার স্মৃতিসৌধ দেখেছি। কিন্তু এইবারই প্রথম এইখানে আসলাম। অনেক ভাল লাগছে। ’